মন্ত্রিসভার নতুন মুখ ড. শামসুল আলম

- আপডেট সময় : ০৯:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
ড. শামসুল আলম ছবি: সংগৃহীত
‘ড. শামসুল কর্ম জীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানির হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসের ভাগিনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। ৩৫ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা শেষে শামসুল আলম ২০০৯ সালের ১ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেছিলেন’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. শামসুল আলম। তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সাবেক সদস্য। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে শামসুল আলমকে দফতর দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন এম এ মান্নান। মন্ত্রিসভায় এখন ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। নতুন একজন যুক্ত হলে প্রতিমন্ত্রীরা সংখ্যা দাঁড়াবে ২০ জন।
ড. শামসুল আলম ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে এমএসসি, ১৯৮৩ সালে ব্যাংককের থাম্মাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ অর্থনীতি এবং ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসেল আপন টাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন।
কর্ম জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানির হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসের ভাগিনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন।
ড. আলম জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় ২০০২ সালের মার্চ থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণকালীন কর্মরত ছিলেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশে ১৪ মাস সিনিয়র স্কেলে পূর্ণকালীন জাতীয় কনসালটেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
৩৫ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা শেষে শামসুল আলম ২০০৯ সালের ১ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। পরে দফায় দফায় বাড়ে তার চুক্তির মেয়াদ। গত ৩০ জুন তার সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।
ড. আলম অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে। এর আগে ২০১৮ সালে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডিউলিং তাকে ‘ইকোনমিক অব ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে।