মধ্যরাত থেকে ঈদ যাত্রা

- আপডেট সময় : ০৬:৪২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
বৃহস্পতিবার হুইসেল বাজবে ট্রেনের ‘সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি’ মেনে চলতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি অমান্যে লঞ্চযাত্রী ও মালিকদের জরিমানার কঠোর বার্তা দিলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে প্রবেশের মুখেই দেখা গেলো র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরিতে ব্যস্ত কয়েকজন র্যাব সদস্য। আরও দু’কদম এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ে কয়েক পরিচ্ছন্নকর্মী টিকিট কাউন্টারের সামনের বিশাল চত্বর পরিষ্কার করে চলেছেন।
কমলাপুর স্টেশনে জোরকদমে চলছে পরিচ্ছন্নতার কাজ
প্রায় মাসের অধিক সময় রেলের চাকা বন্ধ রয়েছে। স্টেশনময় ধূলোর আস্তরন। পরিষ্কারে ব্যস্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে স্টেশন এলাকা জুড়ে। স্বয়ং স্টেশন ম্যানেজার দাঁড়িয়ে পরিচ্ছন্নতা কাজের তদারকি করছেন।
দিনরাত যেখানে যাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত থাকতো সেই কমলাপুর বিরানভুমি। রাত পোহালেই ফের কর্মচাঞ্চল্য দেখা দেবে। হাকডাক শুরু হবে কুলি-হকার, ট্যাক্সিচালকদের। সেই সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করবেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকা থেকে একযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। কাউন্টারে কোন টিকিট মিলবে না এবারে। আর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বে-জোর টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।
রেল পুলিশ ছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রেলওয়ে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে র্যাব, পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প থাকছে কমলাপুর স্টেশনে।
ঢাকার অন্যতম আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সায়দাবাদ। এখান থেকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের শতাধিক রুটের বাস চলাচল করে থাকে। এখানে গয়ে দেখা গোলো বিভিন্ন বাস পরিষ্কারের পাশাপাশি নানা মেরামতির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে পরিবহন কর্মীরা। কেউ ব্যাটারী পরিবর্তন করছেন কেউবা আবার ইঞ্জিনের কাজ করছেন।
সায়দাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে হাজারো বাস
প্রায় একমাস ধরে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। সংশ্লিষ্টরা জানালেন এদিন মধ্যরাত থেকেই বাস শুরু হবে। একটি পরিবহন কোম্পানির ম্যানেজার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের অবস্থা খুবই সংঙ্গিন। মানবেতর জীবনযাপন বলতে যা বোঝায়। সরকারের তরফে কোন সহায়তা তারা পাননি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলানোর ব্যবস্থা চান তারা।
অনেকে আবার মাত্র সাত দিনের জন্য বাস চলাচলের পর ফের বন্ধ। কিন্তু কেবল সায়দাবাদেই ১৫ হারের অধিক বাস রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত সুবিধাভোগীর সংখ্যা কয়েক লাখ। এই বিষয়টি কেউ ভাবছেন না।
একটি পরিবহন কোম্পানির ম্যানেজার
ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী টার্মিনাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে ঈদ যাত্রার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তারা প্রস্তুতি নিয়ে বসে রয়েছে। মধ্য রাত থেকেই ঈদ যাত্রার সূচনা করতে চান।
ঢাকা থেকে সারা দেশে ঈদযাত্রার ভয়ঙ্কর চাপ লক্ষ করা যাবে শুক্রবার থেকে। এমন
করোনা সংক্রমণের লাগাম টানতে ১ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বুধবার মধ্যরাতে। তবে সন্ধ্যা থেকেই লঞ্চ, রাত থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হবে। ট্রেন চলাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে।
সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের একজন কর্মী জানালেন
২১ জুলাই কোরবাণীর ঈদকে সামনে রেখে কঠোর লকডাউন সাতদিনের জন্য শিথিল করে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। তাতে বলা হয়েছে, ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের কঠোর লকডাউনে যাবে বাংলাদেশ। বেলাগাম করোনার সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের বিকল্প নেই।