ভিডিওটি ভারতীয় হাইকশিনের
দিনক্ষণ আগেই ঠিক করা ছিলো। রবিবার পন্যবাহী ট্রেন হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি হয়ে বাংলাদেশে আসবে। এর মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নিয়মিত পণ্যট্রেন চালু হচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডামডিম স্টেশন থেকে পাথর বোঝাই প্রথম মালবাহী ট্রেন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বিকাল নাগাদ ছেড়ে আসার কথা রয়েছে।
ভিডিওটি ঢাকায় ভারতীয় হাইকশিনের সৌজন্যে
রেলভবনের একজন আদিকারীক জানান, হলদিবাড়ি স্টেশনে কাস্টম কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে। বেলা দু’টো নাগাদ পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রেনটি চিলাহাটি স্টেশনে পৌছানোর আশা করছেন তিনি।
চিলাহাটি স্টেশন থেকে আমাদের প্রতিনিধি রুহানা ইভা জানান, চিলাহাটিতে রেলওয়ে, বিজিবি, পুলিশ, কাস্টমসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অপেক্ষায় রয়েছেন। স্টেশনের সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। চিলাহাটিতে সাজ সাজ রব। এর আগে ২৯ জুলাই ভারতীয় রেলের দু’টো ইঞ্জিন
নিয়মমাফিক লার্ণিং রান সম্পন্ন করেন। এই রেলপথ চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পণ্যপরিবহনে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ সাশ্রয় হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে (১৯৬৫ পর্যন্ত) সাতটি রেল সংযোগ চালু ছিল। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল সংযোগ চালু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, পেট্রাপোল (ভারত) বেনাপোল (বাংলাদেশ), গেদে (ভারত) দর্শনা
(বাংলাদেশ), সিংহাবাদ (ভারত) রহনপুর (বাংলাদেশ), রাধিকাপুর (ভারত) বিরল (বাংলাদেশ)। হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
১৯৬৫ সালে হওয়া রেলসংযোগটি চালুর উদ্যোগ নেন হাসিনা সরকার। দু’দেশের উদ্যোগে পূর্ববর্তী সমস্ত রেল সংযোগ পুনরায় চালু করতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ-ভারত।
২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি-হলবাড়ি রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ৫ম রেল সংযোগ।
এই রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাথর ও বোল্ডার, খাদ্যশস্য, তাজা ফল, রাসায়নিক সার, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, ফ্লাই অ্যাশ, ক্লে, চুনাপাথর, কাঠ ও টিম্বার ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে সকল রপ্তানিযোগ্য পণ্যই অনুমোদিত।
চালু হওয়া এই রেল সংযোগ ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে শক্তিশালী করবে। এটি আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক
উন্নয়নকে গতিশীল করতে প্রধান বন্দর ও স্থল বন্দরগুলিতে রেল নেটওয়ার্কের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করবে।