ভাসানচর পরিদর্শনে করবেন কূটনীতিকরা
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১ ২২৫ বার পড়া হয়েছে
১৪ হাজার রোহিঙ্গা গিয়েছে ভাসানচরে
ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। পাঁচটি ধাপে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত হয়েছে।
ঢাকার কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য মিশনের কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে শুক্রবার ভাসানচর পরিদর্শনে যাচ্ছেন ভাসানচর পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার কানাডা হাইকমিশনের তরফে এক বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমকে এতথ্য জানানো হয়। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রাখতেও আগ্রহী কূটনীতিকরা।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের আলোচনা অব্যাহত রাখাও প্রয়োজন। এর আগে জাতিসংঘ, ওআইসির নেতারা ভাসানচর পরিদর্শন করেন। ভাসানচরে ষষ্ঠ ধাপের প্রথম পর্বে পৌঁছালো আরো ২ হাজার ১২৮ জন রোহিঙ্গা। ষষ্ঠ ধাপের প্রথম পর্বে পৌঁছানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫১২ জন পুরুষ, ৬১৩ জন নারী ও ১০০৩ জন শিশু রয়েছে। এসময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। পরে ষষ্ঠ ধাপের প্রথম অংশে আসা রোহিঙ্গা দলটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়্যারহাউজে। সেখানে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেন। ওয়্যার হাউজে তাদের দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়। ভাসানচর আশ্রয়ন-৩ এ স্থানান্তরের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় (এনএসআই এর তত্ত্বাবধানে) মোট ২১২৮ জন রোহিঙ্গা নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজযোগে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে বিকাল নাগাদ ভাসানচরে পৌঁছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ভাসানচরে পৌছে ১৬৪২ রোহিঙ্গা। তাদের ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হয়। প্রথমধাপে ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮১০ জন শিশু, পুরুষ ৩৬৮ জন, নারী ৪৬৪ জন।