ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ব্যাংকখেকো অর্থপাচারের চমকপ্রদ তথ্য দিলেন তারা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিআইসি মহাপরিচালক জানান, এখনো পর্যন্ত ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। শত কোটি টাকা খরচ করে এস আলম সিঙ্গাপুরে দুই ছেলের নাগরিকত্ব কেনেন। শীর্ষ এক ধনীর স্ত্রীর লকারেই মিলেছে ১৫ কোটি টাকার হিরা। চলতি সপ্তাহেও একজন ব্যাংক চেয়ারম্যানের একশ’ ২১ কোটি টাকা জব্দের খবর জানান

শেখ হাসিনা সরকার আমলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর লুটপাটের ঘটনাগুলো হিন্দি সিনেমাকেও হার মানায়। সরকারের ছত্রছায়ায় ব্যাংক লুট, অর্থপাচার, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি থেকে কোন অপরাধটি হাসিনা সরকার আমলে হয়নি? সবই হয়েছে ফ্রি স্টাইলে।

সরকারের সহায়তায় ব্যাংকখেকো এস আলমের ব্যাংক লুট বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্ক্যাম। ব্যাংকের অর্থ লুট এবং পাচারকান্ডে কর্তারা কীভাবে সহায়তা করেছে এবং এখনো যেসব সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে তার বিশদ বিবরণ ওঠে আসে তাদের বক্তব্যে। শীর্ষ অলিগার্কদের ব্যাংক লুট, কর ফাঁকি আর অর্থপাচারের গা শিউরে ওঠা বর্ণনাই শোনালেন দুই আয়কর কমিশনার।


১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়কর গোয়েন্দাদের কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে। রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় এলে অলিগার্করা আঁতাত করবে বলেও আশঙ্কা তাদের। এস আলম একাই দখল করেন অর্ধডজনের বেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নামে বেনামে লুট করেন জনগণের লাখো কোটি টাকা। শিল্পগ্রুপ এস আলমের কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের তদন্ত করছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসি।

সিআইসি মহাপরিচালক জানান, এখনো পর্যন্ত ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। শত কোটি টাকা খরচ করে এস আলম সিঙ্গাপুরে দুই ছেলের নাগরিকত্ব কেনেন। শীর্ষ এক ধনীর স্ত্রীর লকারেই মিলেছে ১৫ কোটি টাকার হিরা। চলতি সপ্তাহেও একজন ব্যাংক চেয়ারম্যানের একশ’ ২১ কোটি টাকা জব্দের খবর জানান।

অলিগার্কদের লুটপাটের বিবরণ তুলে ধরেন বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ কমিশনারও। কর্মকর্তারা জানান, অনেক ব্যাংকই তথ্য দিয়ে কর ফাঁকির তদন্তে সহায়তা করছে না। অনেকে তথ্য গোপন করছে। আবার অনেকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। যা আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ। সাত ব্যাংকের এমডিকে শোকজ করা হয়েছে।

অর্থপাচার ও কর ফাঁকি ঠেকাতে না পারলে দেশ দীর্ঘ মেয়াদে বড় ক্ষতিতে পড়বে বলে মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে অলিগার্করা মুক্তির উপায় খুঁজবে। তার আগেই তাদের ফাঁকি দেয়া কর আদায়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান কর কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্যাংকখেকো অর্থপাচারের চমকপ্রদ তথ্য দিলেন তারা

আপডেট সময় : ০৭:২০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

সিআইসি মহাপরিচালক জানান, এখনো পর্যন্ত ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। শত কোটি টাকা খরচ করে এস আলম সিঙ্গাপুরে দুই ছেলের নাগরিকত্ব কেনেন। শীর্ষ এক ধনীর স্ত্রীর লকারেই মিলেছে ১৫ কোটি টাকার হিরা। চলতি সপ্তাহেও একজন ব্যাংক চেয়ারম্যানের একশ’ ২১ কোটি টাকা জব্দের খবর জানান

শেখ হাসিনা সরকার আমলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর লুটপাটের ঘটনাগুলো হিন্দি সিনেমাকেও হার মানায়। সরকারের ছত্রছায়ায় ব্যাংক লুট, অর্থপাচার, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি থেকে কোন অপরাধটি হাসিনা সরকার আমলে হয়নি? সবই হয়েছে ফ্রি স্টাইলে।

সরকারের সহায়তায় ব্যাংকখেকো এস আলমের ব্যাংক লুট বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্ক্যাম। ব্যাংকের অর্থ লুট এবং পাচারকান্ডে কর্তারা কীভাবে সহায়তা করেছে এবং এখনো যেসব সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে তার বিশদ বিবরণ ওঠে আসে তাদের বক্তব্যে। শীর্ষ অলিগার্কদের ব্যাংক লুট, কর ফাঁকি আর অর্থপাচারের গা শিউরে ওঠা বর্ণনাই শোনালেন দুই আয়কর কমিশনার।


১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়কর গোয়েন্দাদের কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে। রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় এলে অলিগার্করা আঁতাত করবে বলেও আশঙ্কা তাদের। এস আলম একাই দখল করেন অর্ধডজনের বেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নামে বেনামে লুট করেন জনগণের লাখো কোটি টাকা। শিল্পগ্রুপ এস আলমের কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের তদন্ত করছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসি।

সিআইসি মহাপরিচালক জানান, এখনো পর্যন্ত ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। শত কোটি টাকা খরচ করে এস আলম সিঙ্গাপুরে দুই ছেলের নাগরিকত্ব কেনেন। শীর্ষ এক ধনীর স্ত্রীর লকারেই মিলেছে ১৫ কোটি টাকার হিরা। চলতি সপ্তাহেও একজন ব্যাংক চেয়ারম্যানের একশ’ ২১ কোটি টাকা জব্দের খবর জানান।

অলিগার্কদের লুটপাটের বিবরণ তুলে ধরেন বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ কমিশনারও। কর্মকর্তারা জানান, অনেক ব্যাংকই তথ্য দিয়ে কর ফাঁকির তদন্তে সহায়তা করছে না। অনেকে তথ্য গোপন করছে। আবার অনেকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। যা আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ। সাত ব্যাংকের এমডিকে শোকজ করা হয়েছে।

অর্থপাচার ও কর ফাঁকি ঠেকাতে না পারলে দেশ দীর্ঘ মেয়াদে বড় ক্ষতিতে পড়বে বলে মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে অলিগার্করা মুক্তির উপায় খুঁজবে। তার আগেই তাদের ফাঁকি দেয়া কর আদায়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান কর কর্মকর্তারা।