ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে সুবাতাস বইছে। এরই মধ্যে বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই।

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে সুবাতাস বইছে।  বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই।

বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ রিজার্ভ বেড়ে এখন ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই। একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬)।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন সাপ্তাহিক নির্বাচিত সূচকে এমন চিত্র তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার নেমে আসে। নিট রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার দাঁড়ায়। রমজান মাসে উচ্চ প্রবাসী আয় প্রবাহের ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ বেড়ে মোট ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে পৌছে।

এই মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি বা রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠিত বিভিন্ন তহবিলের অর্থ বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। এর বাইরের ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এর হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ থেকে বিরত থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার এবং পাইপলাইনে থাকা আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সে হিসাবে বর্তমান রিজার্ভ প্রয়োজনের বেশিই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে সুবাতাস বইছে।  বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই।

বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ রিজার্ভ বেড়ে এখন ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই। একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬)।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন সাপ্তাহিক নির্বাচিত সূচকে এমন চিত্র তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার নেমে আসে। নিট রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার দাঁড়ায়। রমজান মাসে উচ্চ প্রবাসী আয় প্রবাহের ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ বেড়ে মোট ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে পৌছে।

এই মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি বা রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠিত বিভিন্ন তহবিলের অর্থ বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। এর বাইরের ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এর হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ থেকে বিরত থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার এবং পাইপলাইনে থাকা আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সে হিসাবে বর্তমান রিজার্ভ প্রয়োজনের বেশিই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।