ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ছাড়াল

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ ২১৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগৃহিত

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত নতুন উচ্চতায় উঠেছে। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের ওপর ভর করে এই মজুত গড়ে ওঠেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, সেভাবে পণ্য আমদানিতে খরচ হচ্ছে না।

এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ বাড়েই চলেছে। পণ্য আমদানিতে চাহিদা বৃদ্ধি না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রবণতা চলবে।

মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকার মতো। এর আগে গত মে মাসের শুরুতে রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার হয়েছিল।

কোনো কোনো ব্যাংক সরকারের ২ শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি ১ শতাংশ দিচ্ছে। সব মিলিয়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। এর বদৌলতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার ৫৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬০০ কোটি ডলার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। আশার কথা হলো, দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব (প্রতি মাসে ৪০০ কোটি ডলার ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসীরা চলতি জুন মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে মোট ১৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ধরলে ২ হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে।

এর আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার দেশে প্রবাসী আয় পাঠানোর বিপরীতে ২ শতাংশ প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যায়।

করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি। বরং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সীমিত হয়ে পড়ায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ছাড়াল

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

ছবি সংগৃহিত

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত নতুন উচ্চতায় উঠেছে। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের ওপর ভর করে এই মজুত গড়ে ওঠেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, সেভাবে পণ্য আমদানিতে খরচ হচ্ছে না।

এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ বাড়েই চলেছে। পণ্য আমদানিতে চাহিদা বৃদ্ধি না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রবণতা চলবে।

মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকার মতো। এর আগে গত মে মাসের শুরুতে রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার হয়েছিল।

কোনো কোনো ব্যাংক সরকারের ২ শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি ১ শতাংশ দিচ্ছে। সব মিলিয়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। এর বদৌলতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার ৫৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬০০ কোটি ডলার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। আশার কথা হলো, দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব (প্রতি মাসে ৪০০ কোটি ডলার ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসীরা চলতি জুন মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে মোট ১৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ধরলে ২ হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে।

এর আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার দেশে প্রবাসী আয় পাঠানোর বিপরীতে ২ শতাংশ প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যায়।

করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি। বরং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সীমিত হয়ে পড়ায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে।