নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য তিন নারী পেলেন বিশেষ সম্মাননা। এদের অন্যতম হচ্ছে শিক্ষাবিদ, গবেষক, পরিবেশ সংগঠক, লেখক, সমাজচিন্তক এবং দ্য ওমেন ভয়েস’র সম্পাদক ড. বিরাজলক্ষী ঘোষ। অপরজন রবীন্দ্র সঙ্গীতে আত্মনিবেদিত শিল্পী ও সংগঠক ছন্দা দত্ত এবং বাংলাদেশের সমাজকর্মী ও সংগঠক জেসমিন সুলতানা পুষ্প। বলা যায় তাদের কর্মের মধ্য দিয়ে সমাজের মলিনতা দূর হয়।
ড. বিরাজলক্ষী ঘোষ : পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। বেশ লম্বা সময় ধরেই কলেজে শিক্ষকতা করে আসছেন। বর্তমানে তিনি একটি কলেজের প্রিন্সিপাল। শিক্ষকতার পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। মানুষ গড়ার ঝান্ডা উড়িয়ে থেমে থাকেননি তিনি। নিবেদিত হয়েছেন গবেষণা ও নারীদের সচেতনতায় নানামুখী উদ্যোগের সঙ্গে। নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন সংবামাধ্যমের সঙ্গেও। দ্য ওমেন ভয়েস নামক একটি অনলাইন পোর্টালও সম্পাদনা করছেন। আগামীতে তার একাধিক গবেষণামূলক বই প্রকাশের অপেক্ষায়।
ছন্দা দত্ত : সুরে সুরে যিনি সমাজের মলিনতা দূর করতে চান তিনি ছন্দা দত্ত। আজীবন রবীন্দ্র সঙ্গীতের স্রোতস্বিনীতে ভেসে চলেছেন এই শিল্পী। একাধারে শিল্পী ও সংগঠক ছন্দা দত্ত জীবনভর রবীন্দ্র সঙ্গীতকে ধারণ করেই বাচতে চান । পশ্চিমবঙ্গের চন্দরনগরের বাসিন্দা ছন্দা দত্ত নিজের প্রতিষ্ঠানে অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীরাও রবীন্দ্র সঙ্গীতে তালিম নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ রবীন্দ্র সঙ্গীতকে ধারণ করেই এগিয়ে চলেছেন শিল্পী ছন্দা দত্ত।
জেসমিন সুলতানা পুষ্প: করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন রকমের সচেতনতামূলক কর্মসূচী পরিচালনা করেন তিনি। বিশেষ করে করোনার কারণে কৃষকদের ধানকাটা নিয়ে যখন শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করে, তখন জেসমিন সুলতানা পুষ্প তার কর্মীদের নিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন। তার বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায়। তিনি এই উপজেলা যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী।