বিএনপি’র এমপি হারুনের পাকিস্তান প্রীতি

- আপডেট সময় : ০৮:৫২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১ ২১৯ বার পড়া হয়েছে
‘পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলায় সংসদে তোপের মুখে হারুনুর রশিদ’
সংসদে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পক্ষে বাংলাদেশি সমর্থকদের হয়ে কথা বলায় তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)
অন্যতম শরীক জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের এমপি হারুন রশিদ। তিনি চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। মূলত চাপাই হচ্ছে জামায়াত-বিএনপি অধ্যূষিত এলাকা।
শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুন অভিযোগ করেন, পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশটির প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে। পাকিস্তানী ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। মিরপুরে তাদের পক্ষে বাংলাদেশি অনেক দর্শক পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খুনিদের বিচারের পরিবর্তে বিদেশে মিশনে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোদী ও রাজাকার, আল-বদর, আল সামস্ পরিচালনা করে বাঙলার মা-বোনদের ইজ্জত কেড়ে নিয়ে উল্লাস করেছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে খুনিদের মন্ত্রী করে গাড়িতে লালসবুজে খচিত পতাকা ওড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন তাই নয়, বর্তমানে বিএনপি জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতে ইসলামী।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে বিএনপি সাংসদ হারুনুর রশিদ শনিবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের তথা পাকিস্তানের হয়ে সরব হন! বিএনপি রাজাকার, আলবদর, খুনিদের পৃষ্ঠপোষক তা আবার দিনের আলোর মতো পরিস্কার হলো। হারুনুর রশিদ বলেন, সমর্থকরা মাঠে পতাকা উড়িয়েছে। এই পতাকা উড়ানো কেন্দ্র করে নানা কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন? সবাইকে
একটা কথা মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান আমাদের দেশে খেলতে এসেছে, তারা আমাদের মেহমান। এটাকে কেন্দ্র করে কেন বিদ্বেষপূর্ণ কথা বলা হচ্ছে। তাদেরকে তো আনা দরকার ছিল না, কেন আসতে দিলেন। একটা দেশের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করা ঠিক না।
হারুনুর রশিদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৩ বছর বাঙালিজাতি লড়াই সংগ্রাম করে স্বাধীনতা পেয়েছিল। অধিকার হারা মানুষের অধিকার ফিরে পেয়েছিল। সেই জায়গায় যখন আমাদের আঘাত করা হয়, তখন আমরা ব্যথিত হই, বাংলাদেশের মানুষ ব্যথিত হয়, ৩০ লাখ শহীদ অপমানিত হয়, আমাদের মা-বোনদেরকে অপমান করা হয়।
বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদ যেভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে এই সংসদে যা বললেন, তাতে তাদের প্রকৃত চরিত্র বেরিয়ে এসেছে। তারা যে রাজাকার, আল-বদর, আল-সামসদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে, রাজনীতি করছে, এই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেন্টিমেন্ট তারা ধারণ করেন না, সেটাই প্রমাণ করলেন। বিএনপির রাজনীতিই হচ্ছে সেটা।