ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলা নববর্ষ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে: শেখ হাসিনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ছবি সংগ্রহ

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসছে বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অতি দ্রুত সব ধরনের সেবা ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নিয়েছে তার সরকার

 

অনলাইন ডেস্ক

আসছে বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অতি দ্রুত সব ধরনের সেবা ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নিয়েছে তার সরকার।

বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনের প্রথম জাতীয় ভূমি সম্মেলন উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিন দিনের সম্মেলন ৩১ মার্চ শেষ হবে। জাতীয় ভূমি সম্মেলন উদ্বোধনের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রকের সাতটি নতুন উদ্যোগও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত না করেই ভূমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ভূমি ব্যবস্থা ডিজিটাল করার মাধ্যমে ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।

পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিরসন ও ভোগান্তি রোধে ভূমি বণ্টননামা ডিজিটালাইজড করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমি সেবা ডিজিটালাইজ করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজ হয়েছে। ফলে প্রতিদিন ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে। এ পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ৭৭০ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর ই-সেবা উদ্বোধন হয়েছে এবং সেবছর থেকেই ই-নামজারি শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭৭ লাখের বেশি নাগরিক এই সেবাটি গ্রহণ করেছে। ডাক বিভাগ এখন নাগরিকের ঠিকানায় খতিয়ান ও ম্যাপ পৌঁছে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩ লাখের অধিক খতিয়ান ও ম্যাপ নাগরিকরা হাতে পেয়েছেন।

নগদ টাকা ছাড়া সেবার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২২ সালে ১ অক্টোবর থেকে ই-নামজারি সিস্টেমকে পুরোপুরি ক্যাশলেস ঘোষণা করা হয়েছে। সব ভূমি অফিসে ম্যানুয়াল ডিসিআরের পরিবর্তে চালু করা হয়েছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য কিউআর কোড সমৃদ্ধ ডিসিআর।

ডিজিটাল পদ্ধতি আরও আধুনিক করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সিস্টেমের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ করে শিগগির দ্বিতীয় প্রজন্মের ই-নামজারি চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ই-মিউটেশনের বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘে ইউনাইটেড ন্যাশন্স পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০ অর্জন করেছে। এ জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

আওয়ামী লীগ সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে; কোনো হয়রানি ছাড়াই মানুষ এখন ভূমিসেবা পাচ্ছে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলা নববর্ষ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে: শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

আসছে বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অতি দ্রুত সব ধরনের সেবা ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নিয়েছে তার সরকার

 

অনলাইন ডেস্ক

আসছে বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অতি দ্রুত সব ধরনের সেবা ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নিয়েছে তার সরকার।

বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনের প্রথম জাতীয় ভূমি সম্মেলন উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিন দিনের সম্মেলন ৩১ মার্চ শেষ হবে। জাতীয় ভূমি সম্মেলন উদ্বোধনের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রকের সাতটি নতুন উদ্যোগও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত না করেই ভূমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ভূমি ব্যবস্থা ডিজিটাল করার মাধ্যমে ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।

পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিরসন ও ভোগান্তি রোধে ভূমি বণ্টননামা ডিজিটালাইজড করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমি সেবা ডিজিটালাইজ করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজ হয়েছে। ফলে প্রতিদিন ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে। এ পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ৭৭০ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর ই-সেবা উদ্বোধন হয়েছে এবং সেবছর থেকেই ই-নামজারি শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭৭ লাখের বেশি নাগরিক এই সেবাটি গ্রহণ করেছে। ডাক বিভাগ এখন নাগরিকের ঠিকানায় খতিয়ান ও ম্যাপ পৌঁছে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩ লাখের অধিক খতিয়ান ও ম্যাপ নাগরিকরা হাতে পেয়েছেন।

নগদ টাকা ছাড়া সেবার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২২ সালে ১ অক্টোবর থেকে ই-নামজারি সিস্টেমকে পুরোপুরি ক্যাশলেস ঘোষণা করা হয়েছে। সব ভূমি অফিসে ম্যানুয়াল ডিসিআরের পরিবর্তে চালু করা হয়েছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য কিউআর কোড সমৃদ্ধ ডিসিআর।

ডিজিটাল পদ্ধতি আরও আধুনিক করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সিস্টেমের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ করে শিগগির দ্বিতীয় প্রজন্মের ই-নামজারি চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ই-মিউটেশনের বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘে ইউনাইটেড ন্যাশন্স পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০ অর্জন করেছে। এ জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

আওয়ামী লীগ সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে; কোনো হয়রানি ছাড়াই মানুষ এখন ভূমিসেবা পাচ্ছে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক।