ছবি ভারতীয় হাইকমিশন
করোনার উচ্চমুখি সংক্রমণে অক্সিজেনের যোগান ঠিক রাখতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়টি অবশ্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য। করোনা বিশ্বে অর্থের যোগান থাকলেও সঠিক সময়ে মিলছে না পণ্য। আর জীবনদায়ি অক্সিজেন! তার যোগানতো থাকতে হবে হাতের লাগাতে।
অবশেষে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করে চলেছে হাসিনা সরকার। শুরুটা হয়েছিলো ২৪ জুলাই। সময়োপযোগী অক্সিজেনের যোগান দিতে হাত বাড়ায় প্রতিবেশি ভারত। এর মধ্যে দিয়েই দ্রুত আমদানির দুয়ার উন্মুক্ত হয়।
অক্সিজেন নিয়ে আস্ত একটি ট্রেন যাকে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ বলা হয়ে থাকে। নতুন করে এই পরিবহন ব্যবস্থা অক্সিজেন এক্সপ্রেসের সঙ্গে পরিচিতও হওয়া গেল।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে ভারত থেকে ১৮২ টন তরল মেডিকেল অক্সিজেনের (এলএমও) পঞ্চম চালান নিয়ে ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম তীরে রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেছে। এ নিয়ে সর্বমোট ৯৮২ টন তরল অক্সিজেন পৌঁছালো বাংলাদেশে।
এর আগে, ভারত থেকে গত ২৪, ২৮ ও ৩০ জুলাই এবং ১ আগস্ট ২০০ টন করে তরল অক্সিজেন নিয়ে ৪ ধাপে আসা ৮০০ টন তরল অক্সিজেন।
শুক্রবার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেডের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুফিয়া আক্তার ওহাব জানান, আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানটি পঞ্চম বারের মতো রেলপথে ভারত থেকে মোট ৯৮২ টন তরল অক্সিজেন বাংলাদেশে আমদানি করে। খালাস
শেষে ট্যাংকলরিগুলো অক্সিজেন নিয়ে সড়ক পথে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের নেওয়া হয়েছে। সেখানে থেকে চাহিদা মাফিক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো হবে জীবনদায়ি অক্সিজেন।