বাংলাদেশে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

- আপডেট সময় : ০২:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯০ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বৃহস্পতিবার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে পাশ্ববর্তী বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ঈদগাহে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনসহ সর্বস্তরের মানুষ ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
দীর্ঘ এক মাস রোজা পালনের পর যথাযোগ্য মর্যাদায় মুসলিম ধর্মাবলম্বিদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। নামাজ শেষে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে আটটায়। কিন্তু পৌনে সাতটা থেকেই লাইন দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে মুসল্লিদের লাইন পল্টন মোড ছাড়িয়ে যায়। দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে বহু মুসল্লি বিরক্তি প্রকাশ করেন। মুসল্লিদের অনেকেই সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ঈদ জামাতে অংশ নিতে ছুটে এসেছেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন।
জাতীয় ঈদগাহে এক সঙ্গে ৮৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এখানে ১০ হাজার নারীর ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য আলা ব্যবস্থা করা হয়।

এছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সকাল ৭টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানেও ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামায়াতে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কূটনৈতিকবৃন্দ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় ঈদগাহ ঘিরে ছিলো কঠোর নিরাপত্তা। ঢাকার মানুষ যখন নতুন পায়জামা-পাঞ্জাবি পড়ে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিতে যাচ্ছে, তখন এসব মুসল্লিদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদ গা ময়দানে। এখানে ৫ লাখেরও বেশি মুসল্লি এই ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন।