ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত পরিষ্কার রাখতে ভারতীয় হাইকমিশনের ‘জি-২০ মেগা বিচ ক্লিন-আপ’ অভিযান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করছে। জি-২০, বা ‘গ্রুপ অফ টোয়েন্টি’ হচ্ছে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে প্রধান ২০ টির একটি ফোরাম।

India’s G20 Presidency-Gi -এর অংশ হিসাবেই রবিবার বাংলাদেশের বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যোগহ নেয় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি ‘জি-২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ’ আয়োজন অংশ নেয়।

২০২৩ সালে ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির রুব্রিকের অধীনে আয়োজিত এই ইভেন্টে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার বিশিষ্ট সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্র এবং যুব স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে উৎসাহীত করে।

সমুদ্রকে দূষণ ও বর্জ্য থেকে রক্ষা করার অঙ্গীকার গৃহীত হয়। বক্তারা সামুদ্রিক জীবনের উপর দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তারা একটি টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব জীবনধারার রক্ষার অঙ্গীকারও করে।

শিক্ষার্থী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন, সুশীল সমাজের সদস্যসহ সমবেত লোকজন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম হাতে নেয়।

বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে বলেছেন যে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের সময় অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করা উভয় দেশের বিস্তৃত এবং গভীর অংশীদারিত্বকে প্রতিফলন।

মি. ভার্মা বলেন, যে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বহুমুখী এবং ভাগ করা প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে সক্রিয় সহযোগিতারই প্রকাশ। উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক আবাসস্থল সংরক্ষণ ও সুরক্ষার যৌথ প্রচেষ্টা আমাদের দুই দেশের মূল্যবোধ এবং অগ্রাধিকারের একটি স্বাভাবিক সম্প্রসারণ।

ছবি : ভারতীয় হাইকমিশনের সৌজন্যে

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশ সবসময়ই এগিয়ে। তিনি উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ ও নাগরিক-কেন্দ্রিক অংশগ্রহণ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার জন্য ভারত সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

‘জি-২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ ইভেন্ট’-এর উদ্দেশ্য হল পরিবেশের উপর সামুদ্রিক বর্জ্যের প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। এই ইভেন্টের সময় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ প্রশমনে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছিল, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত পরিষ্কার রাখতে ভারতীয় হাইকমিশনের ‘জি-২০ মেগা বিচ ক্লিন-আপ’ অভিযান

আপডেট সময় : ১০:১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করছে। জি-২০, বা ‘গ্রুপ অফ টোয়েন্টি’ হচ্ছে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে প্রধান ২০ টির একটি ফোরাম।

India’s G20 Presidency-Gi -এর অংশ হিসাবেই রবিবার বাংলাদেশের বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যোগহ নেয় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি ‘জি-২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ’ আয়োজন অংশ নেয়।

২০২৩ সালে ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির রুব্রিকের অধীনে আয়োজিত এই ইভেন্টে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার বিশিষ্ট সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্র এবং যুব স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে উৎসাহীত করে।

সমুদ্রকে দূষণ ও বর্জ্য থেকে রক্ষা করার অঙ্গীকার গৃহীত হয়। বক্তারা সামুদ্রিক জীবনের উপর দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তারা একটি টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব জীবনধারার রক্ষার অঙ্গীকারও করে।

শিক্ষার্থী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন, সুশীল সমাজের সদস্যসহ সমবেত লোকজন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম হাতে নেয়।

বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে বলেছেন যে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের সময় অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করা উভয় দেশের বিস্তৃত এবং গভীর অংশীদারিত্বকে প্রতিফলন।

মি. ভার্মা বলেন, যে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বহুমুখী এবং ভাগ করা প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে সক্রিয় সহযোগিতারই প্রকাশ। উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক আবাসস্থল সংরক্ষণ ও সুরক্ষার যৌথ প্রচেষ্টা আমাদের দুই দেশের মূল্যবোধ এবং অগ্রাধিকারের একটি স্বাভাবিক সম্প্রসারণ।

ছবি : ভারতীয় হাইকমিশনের সৌজন্যে

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশ সবসময়ই এগিয়ে। তিনি উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ ও নাগরিক-কেন্দ্রিক অংশগ্রহণ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার জন্য ভারত সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

‘জি-২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ ইভেন্ট’-এর উদ্দেশ্য হল পরিবেশের উপর সামুদ্রিক বর্জ্যের প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। এই ইভেন্টের সময় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ প্রশমনে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছিল, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জা