ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বরিশালের জয়ন্তী নদী থেকে যুবলীগ নেতাসহ শসস্ত্র ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরিশালের জয়ন্তী নদী থেকে যুবলীগ নেতাসহ শসস্ত্র ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরিশালের মুলাদীর জয়ন্তী নদী থেকে পাঁচ ডাকাতকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের একজন বরিশাল নগরে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রয়েছেন। ভেকুবোঝাই পন্টুন ডাকাতির চেষ্টাকরছিলো তারা।

একটি ভেকু ও পন্টুন, একটি শর্টগান, একটি চায়নিজ রাইফেল, কাতুর্জ ১৭টি, রাইফেলের গুলি পাঁচটি, রিভলবারের গুলি ১৬টি, ম্যাগাজিন দুইটি, গজারি কাঠের লাঠি তিনটি, একটি হকিস্টিক, রামদা দুইটি ও দুইটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের নাজিরপুর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।

এর আগে সকালে মুলাদীর চরকালেখান ইউনিয়নের বানীমর্দন এলাকা থেকে ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের বাসিন্দা আজাহার মুন্সির ছেলে ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন (৩৮)।

বরিশাল নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিব (২৩), বরিশালের গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়নের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গির নগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের ফিরোজ আকন (৪২) এবং আগরপুর ইউনিয়নের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের সায়েম বেপারী (২২)।

এর মধ্যে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে।

মুলাদীর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ মার্চ বিকেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে পন্টুন ও ভেকু ডাকাতি হয়।

ভেকু ও পন্টুন জয়ন্তী নদীর মাদারীপুরের কালিকিনি উপজেলার নুর মোহাম্মদ মোল্লার ইটভাটায় এলাকায় নিয়ে রাখে। পরে ডাকাতি করা ভেকু ও পন্টুনসহ দুটি ট্রলারযোগে ২০-২২ ডাকাত বাবুগঞ্জের দিকে পালাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছে।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সকালে নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা ৫ ডাকাতকে কিছু অস্ত্রসহ আটক করে। চরকালেখান এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আরও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে দুটি দেশীয় পিস্তল, ম্যাগাজিন, ৩৭ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু রামদা, চাপাতি, ড্যাগার রয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ও ভেকু মালিক বাদী হয়ে মামলা করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বরিশালের জয়ন্তী নদী থেকে যুবলীগ নেতাসহ শসস্ত্র ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

বরিশালের জয়ন্তী নদী থেকে যুবলীগ নেতাসহ শসস্ত্র ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরিশালের মুলাদীর জয়ন্তী নদী থেকে পাঁচ ডাকাতকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের একজন বরিশাল নগরে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রয়েছেন। ভেকুবোঝাই পন্টুন ডাকাতির চেষ্টাকরছিলো তারা।

একটি ভেকু ও পন্টুন, একটি শর্টগান, একটি চায়নিজ রাইফেল, কাতুর্জ ১৭টি, রাইফেলের গুলি পাঁচটি, রিভলবারের গুলি ১৬টি, ম্যাগাজিন দুইটি, গজারি কাঠের লাঠি তিনটি, একটি হকিস্টিক, রামদা দুইটি ও দুইটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের নাজিরপুর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।

এর আগে সকালে মুলাদীর চরকালেখান ইউনিয়নের বানীমর্দন এলাকা থেকে ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের বাসিন্দা আজাহার মুন্সির ছেলে ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন (৩৮)।

বরিশাল নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিব (২৩), বরিশালের গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়নের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গির নগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের ফিরোজ আকন (৪২) এবং আগরপুর ইউনিয়নের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের সায়েম বেপারী (২২)।

এর মধ্যে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে।

মুলাদীর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ মার্চ বিকেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে পন্টুন ও ভেকু ডাকাতি হয়।

ভেকু ও পন্টুন জয়ন্তী নদীর মাদারীপুরের কালিকিনি উপজেলার নুর মোহাম্মদ মোল্লার ইটভাটায় এলাকায় নিয়ে রাখে। পরে ডাকাতি করা ভেকু ও পন্টুনসহ দুটি ট্রলারযোগে ২০-২২ ডাকাত বাবুগঞ্জের দিকে পালাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছে।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সকালে নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা ৫ ডাকাতকে কিছু অস্ত্রসহ আটক করে। চরকালেখান এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আরও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে দুটি দেশীয় পিস্তল, ম্যাগাজিন, ৩৭ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু রামদা, চাপাতি, ড্যাগার রয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ও ভেকু মালিক বাদী হয়ে মামলা করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।