ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু যাদের বিশ্বাস করেছেন, তারাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০ ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে বাংলাদেশের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ড ও রক্তপাত শুরু হয়। শেখ হাসিনা বলেন, যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, একটি জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছিলেন, সেই জাতির পিতাকেই কিনা খুনিরা হত্যা করল। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করাই ছিলো খুনীদের মূল উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর কিছু আওয়ামি লিগ নেতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এসময় শেখ হাসিনা ৭৫’র ১৫ই আগস্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যা প্রক্রিয়ার শুরুতে দলের ভেতরেই চক্রান্ত শুরু হয় এবং পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনার মাধ্যমে হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু জাতির পিতা যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল, ভালোবাসা ছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলতেই সেদিন পরাজিত শক্তি ১৫ আগষ্ট এর মতো ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্যও ছিলো বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমেও স্বাধীনতার চেতনা ধুলিসাৎ করতে চেয়েছিলো বিএনপি-জামায়াত চক্র। শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করা গণহত্যাকারী, নারী ধর্ষণকারীদের এমপি, মন্ত্রী বানিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিল জিয়া। তিনি জাতির জনকের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন। জিয়ার মতোই স্বাধীনতাবিরোধী ও জাতির পিতার হত্যাকারীদের মদদ দিয়েছেন বেগম জিয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোকাবহ যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করার পর সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জীবনের উপরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন এমপি আসাদুজ্জামান নূর। এবং আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন আওয়ামি লিগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধু যাদের বিশ্বাস করেছেন, তারাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে

আপডেট সময় : ০১:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে বাংলাদেশের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ড ও রক্তপাত শুরু হয়। শেখ হাসিনা বলেন, যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, একটি জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছিলেন, সেই জাতির পিতাকেই কিনা খুনিরা হত্যা করল। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করাই ছিলো খুনীদের মূল উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর কিছু আওয়ামি লিগ নেতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এসময় শেখ হাসিনা ৭৫’র ১৫ই আগস্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যা প্রক্রিয়ার শুরুতে দলের ভেতরেই চক্রান্ত শুরু হয় এবং পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনার মাধ্যমে হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু জাতির পিতা যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল, ভালোবাসা ছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলতেই সেদিন পরাজিত শক্তি ১৫ আগষ্ট এর মতো ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্যও ছিলো বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমেও স্বাধীনতার চেতনা ধুলিসাৎ করতে চেয়েছিলো বিএনপি-জামায়াত চক্র। শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করা গণহত্যাকারী, নারী ধর্ষণকারীদের এমপি, মন্ত্রী বানিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিল জিয়া। তিনি জাতির জনকের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন। জিয়ার মতোই স্বাধীনতাবিরোধী ও জাতির পিতার হত্যাকারীদের মদদ দিয়েছেন বেগম জিয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোকাবহ যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করার পর সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জীবনের উপরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন এমপি আসাদুজ্জামান নূর। এবং আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন আওয়ামি লিগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।