ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানের জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ফেনীতে দুর্ভোগে লাখো মানুষ আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা বিমান বন্দরে পাঞ্জাবির পকেটে মিললো কোটির টাকার সোনা প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস তুরস্কের হু হু করে বাড়ছে বানের জল, টানা বর্ষণে নির্ঘুম রাত কাটছে ফেণীবাসীর  ৯ জুলাই মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী তরুণদের ভাবনায় ২৬’র নির্বাচনে বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২১, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে সরকারী সহায়তার চাল পেলো ভোলার ‘বেদে মৎস্যজীবীরা’ কুয়েতে যেতে কোন শ্রমিককে গুণতে হবে আট লাখ টাকা! যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু

ফৌজদারি মামলা পরিচালনার ক্ষমতা হারালেন সেই বিচারক

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ ২৫০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরেও ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেওয়ায় মোসাম্মাৎ কামরুন্নাহারকে তলবও করা হয়েছিলো’। কিন্তু করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, যে যাত্রায় তাকে আর আপিল বিভাগে হাজির হতে হয়নি।

সেই মামলাটির পুনরায় তলব আদেশে সোমবার আপিল বিভাগে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন ঢাকার আলোচিত রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক মোসাম্মাৎ কামরুন্নাহার। স্থগিতাদেশ থাকার পরেও কোন

এখতিয়ারবলে ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেন? আপিল বিভাগের বিচারপতিদের এমন প্রশ্নের জবাবে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন মোসাম্মাৎ কামরুন্নাহার।

এদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এক আদেশে এই বিচারকের ফৌজদারি মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় দেওয়া হবে বলেও সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বেঞ্চের অফর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় একজন নাট্যশিল্পীকে। আসলাম সিকদার (৪২) এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় আসামির জামিনের ওপর আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ দেন।

কিন্তু স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে তাকে জামিন দিয়ে দেন জজ কামরুন্নাহার। বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আনা হলে গেলো বছরের মার্চ মাসে তাকে তলব করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে গত দেড় বছরেও তাকে আর হাজির হতে হয়নি।

সম্প্রতি ঢাকার রেইনট্রি হোটেল ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত এক পর্যবেক্ষণ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন এই বিচারক। তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে তাকে আইন মন্ত্রকে

সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি তলব সংক্রান্ত ‘রাষ্ট্র বনাম আসলাম সিকদার’ মামলাটি শুনানির জন্য গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আনা হয়। এরপর তাকে পুনরায় তলব করা হয়।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফৌজদারি মামলা পরিচালনার ক্ষমতা হারালেন সেই বিচারক

আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

ছবি: সংগৃহীত

‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরেও ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেওয়ায় মোসাম্মাৎ কামরুন্নাহারকে তলবও করা হয়েছিলো’। কিন্তু করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, যে যাত্রায় তাকে আর আপিল বিভাগে হাজির হতে হয়নি।

সেই মামলাটির পুনরায় তলব আদেশে সোমবার আপিল বিভাগে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন ঢাকার আলোচিত রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক মোসাম্মাৎ কামরুন্নাহার। স্থগিতাদেশ থাকার পরেও কোন

এখতিয়ারবলে ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেন? আপিল বিভাগের বিচারপতিদের এমন প্রশ্নের জবাবে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন মোসাম্মাৎ কামরুন্নাহার।

এদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এক আদেশে এই বিচারকের ফৌজদারি মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় দেওয়া হবে বলেও সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বেঞ্চের অফর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় একজন নাট্যশিল্পীকে। আসলাম সিকদার (৪২) এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় আসামির জামিনের ওপর আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ দেন।

কিন্তু স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে তাকে জামিন দিয়ে দেন জজ কামরুন্নাহার। বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আনা হলে গেলো বছরের মার্চ মাসে তাকে তলব করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে গত দেড় বছরেও তাকে আর হাজির হতে হয়নি।

সম্প্রতি ঢাকার রেইনট্রি হোটেল ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত এক পর্যবেক্ষণ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন এই বিচারক। তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে তাকে আইন মন্ত্রকে

সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি তলব সংক্রান্ত ‘রাষ্ট্র বনাম আসলাম সিকদার’ মামলাটি শুনানির জন্য গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আনা হয়। এরপর তাকে পুনরায় তলব করা হয়।