প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পালন হচ্ছে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস

- আপডেট সময় : ০১:০১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
কারামুক্তির পর ধানমন্ডির সুদাসদন থেকে সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা ছবি: সংগৃহীত
বাবার মতোই দূরদর্শী শেখ হাসিনা। নির্বাসনে ছিলেন দীর্ঘদিন। স্বদেশে ফিরে অধিকার বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে আত্মনিবেদীত হন। হাল ধরেন আওয়ামী লীগের। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেন।
সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাকে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ করেন।
এসময় কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে পড়েন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বিভিন্ন মহল থেকে তার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে। উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর দাবি ওঠে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের তরফে।

ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১১ মাসের ভোগের সমাপ্তি ঘটে। সেই থেকে দিনটি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
মুক্তির পর উন্নত চিকিৎসা নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরে স্থায়ী জামিন লাভ করেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্য দিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়।
পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনাও টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থ বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বছর বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করবে বিভিন্ন সংগঠন। দিবসটি উপলক্ষে জুম্মার নামাজের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।