প্রবাসীদের রাজনীতি কর্মকান্ড দেশের ভাবমূর্তির ক্ষুণ্ণ করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৮:৫০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে

প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চালানো কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে মন্তব্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের।
তার মতে রাজনৈতিক দলের বিদেশি শাখার কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি ও ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষতি করছে। পৃথিবীর আর কোনো দেশের রাজনৈতিক দলের এত শাখা বা কর্মী নেই। বিশেষ করে বিএনপি, আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত ক্ষেত্রবিশেষে জাতীয় পার্টিরও সারা বিশ্বে শাখা রয়েছে।
ঢাকার একটি হোটেলে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে উদ্বোধনী অধিবেশনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা একথা বলেন। সেন্টার ফর এনআরবি শনিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তৌহিদ হোসেন বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে দুই দল, তিন দল প্রচণ্ড শত্রুভাবাপন্ন; একই রকম শত্রুভাবাপন্ন আমাদের প্রবাসীরা, যারা এসব দলের শাখাগুলোতে যুক্ত রয়েছেন। এ রকম কী পৃথিবীর কোনো দেশের ক্ষেত্রে আপনারা দেখেছেন? কেউ একজন দেশ থেকে যায়, আর তাকে ডিম ছোড়ার জন্য বা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার জন্য বিরাটসংখ্যক মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে?
স্রেফ ব্যক্তি এবং দলভিত্তিক যে প্রতিক্রিয়া হয় এটা বিরাট ক্ষতি করছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষেত্রে, আমাদের ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোথাও গেলে সেখানে দুয়োধ্বনি দেওয়ার জন্য কেউ দাঁড়িয়ে থাকে না। আমাদের এখানে হয়। এটা চিরদিন হয়ে আসছে। এটা থেকে আমাদের বের হতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভারতীয়রা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, আমরা পাই না কেন? কারণ, আমরা স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত হই খুব কম।
তৌহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে, সেদিকে তাকান। কত ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে চলে আসছেন। আমাদের ক্ষেত্রে কতটুকু হয়, বরং পাকিস্তানে কিছুটা হচ্ছে। বাংলাদেশিরা টাওয়ার হেমলেটসে কিছু হয়েছে, যুক্তরাজ্যে কয়েকজন এমপি আছেন, এটা হলো বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের। ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য আমাদের অবশ্যই ভালো কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, এনআরবিদের ভূমিকা বিশ্বে ইতিবাচক, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচকও আছে। সেদিকে নজর দিতে হবে। একজন ট্যাক্সিচালকের গাড়িতে ভুল করে কেউ যদি বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেলে রেখে যায় এবং তিনি সেটা তার মালিককে খুঁজে বের করে ফেরত দেন, এই ঘটনা কিন্তু ভাবমূর্তি অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু যখন দেখা যায়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে যারা মারা যায় কিংবা উদ্ধার হয় তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ বাংলাদেশের, তখন ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।