ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে চুক্তি নয়, সই হবে ২০টির সমঝোতা স্মারক

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সোমবার চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে কোন চুক্তি স্বাক্ষর হবে না। ২০-২২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভবনা কথা জানালেন দেশটির বিদেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তার এই সফরে দু’দেশের মধ্যে কোন চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে না, ২০ বেশি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।

অপর দিকে তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে চীন ও ভারত উভয় দেশের প্রস্তাব আসছে যৌথ নদী বিবেচনায় ভারতের প্রস্তাব প্রথমে বিবেচনা করা হবে। রবিবার শেখ হাসিনার চীন সফরকে সামনে রেখে বিদেশমন্ত্রকে আয়োজিক সাংবাদিক বৈঠকে এসে একথা জানান, দেশটির বিদেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান জানান, ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চীনের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সহযোগিতা, নবম চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নিয়ে সমঝোতা, মেডিক্যাল ও পাবলিক হেলথ বিষয়ে সমঝোতা এবং রেডিও ও টেলিভিশন সংক্রান্ত সহযোগিতাসহ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে।

চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রামে ১০০ শয্যার একটি বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি হাসপাতাল নির্মাণ হবে। ড. হাছান সাংবাদিকদের জানান, মোটা দাগে সমঝোতা স্মারকের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা।

এভাবে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। চীনের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে চীন। উন্নয়ন ইস্যুটি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পাবে।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাই চীনে সরকারি সফর করবেন।

অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্র, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, বিদেশ সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগের সচিবসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারীকরা শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে চুক্তি নয়, সই হবে ২০টির সমঝোতা স্মারক

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

 

সোমবার চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে কোন চুক্তি স্বাক্ষর হবে না। ২০-২২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভবনা কথা জানালেন দেশটির বিদেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তার এই সফরে দু’দেশের মধ্যে কোন চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে না, ২০ বেশি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।

অপর দিকে তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে চীন ও ভারত উভয় দেশের প্রস্তাব আসছে যৌথ নদী বিবেচনায় ভারতের প্রস্তাব প্রথমে বিবেচনা করা হবে। রবিবার শেখ হাসিনার চীন সফরকে সামনে রেখে বিদেশমন্ত্রকে আয়োজিক সাংবাদিক বৈঠকে এসে একথা জানান, দেশটির বিদেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান জানান, ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চীনের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সহযোগিতা, নবম চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নিয়ে সমঝোতা, মেডিক্যাল ও পাবলিক হেলথ বিষয়ে সমঝোতা এবং রেডিও ও টেলিভিশন সংক্রান্ত সহযোগিতাসহ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে।

চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রামে ১০০ শয্যার একটি বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি হাসপাতাল নির্মাণ হবে। ড. হাছান সাংবাদিকদের জানান, মোটা দাগে সমঝোতা স্মারকের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা।

এভাবে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। চীনের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে চীন। উন্নয়ন ইস্যুটি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পাবে।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাই চীনে সরকারি সফর করবেন।

অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্র, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, বিদেশ সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগের সচিবসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারীকরা শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হবেন।