ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত-পাকিস্তান কোনো সংঘাত চায় না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চল্লিশোর্ধ্ব নারীর প্রেম ও শরীরের ভাষা: আত্মোপলব্ধির এক অসমাপ্ত অধ্যায় ভারত বাড়াবাড়ি করলে চরম মূল্য দিতে হবে, আব্বাসির হুঁশিয়ারি ভারতের গুজরাটে এক হাজারের বেশি  বাংলাদেশিকে আটক শান্তি অগ্রাধিকার, দুর্বলতা নয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফ পেঁয়াজ সংক্ষণ ব্যবস্থানার  অভাবেই সংকট আশার বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই: ড. ইউনূস ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুখবর দিলেন তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই সংলাপ: গণহত্যার বিচার সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন স্থগিত চায় এনসিপি-মজলিস

প্রথম বারের মতো সরকারী চাল পেলেন বেদে মৎস্যজীবীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:২০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভোলার বেদে জেলে পল্লীতে আনন্দের বন্য

নিবন্ধীত জেলেরা সরকারের বরাদ্দকৃত চালের দাবি  মানবন্ধন কর্মসূচি 

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে দ্বীপ জেলা ভোলায় সবচেয়ে বেশি বেদে মৎস্যজীবী রয়েছেন। মেঘনা-তেতুলিয়া এবং পদ্মার অথৈজলে ভেসে চলা জীবনে তারা প্রথমবারের মতো সরকারী চাল সহায়তা পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞা জানিয়েছে। বেদে মৎস্যজীবী নারীরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টাকে মাতৃতুল্য ভক্তি করেন। তারা মনে করেন, এই উপদেষ্টার জন্যই সরকারী সহায়তার চাল পেয়েছেন তারা।

মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী মৎস্যজীবী বেদে পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। নদীর অথৈজলেই তাদের বাড়ি-ঘর। এই নদীতেই তাদের জন্মমৃত্যু। একমাত্র মাছ ধরেই সংসার চলে তাদের।

বাংলাদেশে বছরে একাধিক সময়ে নদ-নদীতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকে। সে সময় সরকারের নিবন্ধতি জেলেরা বিনামূল্যে চাল সহায়তা পেয়ে থাকেন। কিন্তু মৎস্যজীবী বেদে পরিবারগুলোকে অনাহারে-অর্ধারে দিন কাটাতে হয়। অথচ মৎস্য আহরণে তাদের অবদানকে দূরে রাখা যাবে না।

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা পারে অনেক বেদে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আলাপের সুযোগ হয়েছে। আকাশের মত উদার এবং মেঘনার জলরাশির মতো গভীর মনের মানুষগুলো বঞ্চিতই থেকে গেলো। মানুষ হিসাবে তারা পায়নি তেমন কোন সম্মান। সহায়তা তো দূরের কথা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি ভোলার সাধারণ সম্পদক ও দৌলতখান উপজেলা সভাপতি আল মামুন শেখ জানালেন, তিনি দীর্ঘ দিন যাবত বেদে মৎস্যজীবী এবং সাধারণ জেলে পরিবার যারা সরকারের সহায়তা থেকে বঞ্চিত, তাদের সহায়তাা পাবার  প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন।

বেদে মৎস্যজীবীদের সহাতার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেন। অবশেষে বেদে মৎস্যজীবীদের জন্য ৪ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। আল মামুন শেখ জানান, যে চাল পাওয়া গেছে, তা ১২০টি বেদে মৎস্যজীবী পরিবার ৩০ কেজি করে পাবেন। বৃহস্পতিবার তা বিতরণ করা হবে।

চাল পাবার খবরে বেদে মৎস্যজীবী পল্লীতে আনন্দের জোয়ার বইছে। তারা জীবনের প্রথমবার সরকারের সহায়তা পাচ্ছেন। তারা ভোলা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আল মামুন শেখ  জানান, ভোলার অনেক জেলে তাদের বরাদ্দের চাল পাচ্ছেন না। তাদের বরাদ্দের চাল পেতে অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোলা প্রেস ক্লাবের সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। তাদের দাবি, আমাদের জন্য সরকারের বরাদ্দের চাল পেতে চাই। এটি কারো দয়া নয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রথম বারের মতো সরকারী চাল পেলেন বেদে মৎস্যজীবীরা

আপডেট সময় : ১০:২০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

ভোলার বেদে জেলে পল্লীতে আনন্দের বন্য

নিবন্ধীত জেলেরা সরকারের বরাদ্দকৃত চালের দাবি  মানবন্ধন কর্মসূচি 

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে দ্বীপ জেলা ভোলায় সবচেয়ে বেশি বেদে মৎস্যজীবী রয়েছেন। মেঘনা-তেতুলিয়া এবং পদ্মার অথৈজলে ভেসে চলা জীবনে তারা প্রথমবারের মতো সরকারী চাল সহায়তা পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞা জানিয়েছে। বেদে মৎস্যজীবী নারীরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টাকে মাতৃতুল্য ভক্তি করেন। তারা মনে করেন, এই উপদেষ্টার জন্যই সরকারী সহায়তার চাল পেয়েছেন তারা।

মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী মৎস্যজীবী বেদে পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। নদীর অথৈজলেই তাদের বাড়ি-ঘর। এই নদীতেই তাদের জন্মমৃত্যু। একমাত্র মাছ ধরেই সংসার চলে তাদের।

বাংলাদেশে বছরে একাধিক সময়ে নদ-নদীতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকে। সে সময় সরকারের নিবন্ধতি জেলেরা বিনামূল্যে চাল সহায়তা পেয়ে থাকেন। কিন্তু মৎস্যজীবী বেদে পরিবারগুলোকে অনাহারে-অর্ধারে দিন কাটাতে হয়। অথচ মৎস্য আহরণে তাদের অবদানকে দূরে রাখা যাবে না।

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা পারে অনেক বেদে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আলাপের সুযোগ হয়েছে। আকাশের মত উদার এবং মেঘনার জলরাশির মতো গভীর মনের মানুষগুলো বঞ্চিতই থেকে গেলো। মানুষ হিসাবে তারা পায়নি তেমন কোন সম্মান। সহায়তা তো দূরের কথা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি ভোলার সাধারণ সম্পদক ও দৌলতখান উপজেলা সভাপতি আল মামুন শেখ জানালেন, তিনি দীর্ঘ দিন যাবত বেদে মৎস্যজীবী এবং সাধারণ জেলে পরিবার যারা সরকারের সহায়তা থেকে বঞ্চিত, তাদের সহায়তাা পাবার  প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন।

বেদে মৎস্যজীবীদের সহাতার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেন। অবশেষে বেদে মৎস্যজীবীদের জন্য ৪ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। আল মামুন শেখ জানান, যে চাল পাওয়া গেছে, তা ১২০টি বেদে মৎস্যজীবী পরিবার ৩০ কেজি করে পাবেন। বৃহস্পতিবার তা বিতরণ করা হবে।

চাল পাবার খবরে বেদে মৎস্যজীবী পল্লীতে আনন্দের জোয়ার বইছে। তারা জীবনের প্রথমবার সরকারের সহায়তা পাচ্ছেন। তারা ভোলা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আল মামুন শেখ  জানান, ভোলার অনেক জেলে তাদের বরাদ্দের চাল পাচ্ছেন না। তাদের বরাদ্দের চাল পেতে অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোলা প্রেস ক্লাবের সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। তাদের দাবি, আমাদের জন্য সরকারের বরাদ্দের চাল পেতে চাই। এটি কারো দয়া নয়।