প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার

- আপডেট সময় : ০৮:২৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

গত মার্চে ঢাকা সফরে আসা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে নিয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ফেসবুক
বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার জনের তালিকা চূড়ান্ত করেছে মিয়ানমার। আরও ৭০ হাজার জনের চূড়ান্ত যাচাই চলছে।
মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শেও বলেছেন, মূল তালিকার বাকি ৫ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাইও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। এটি রোহিঙ্গা সঙ্কটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে প্রথম নিশ্চিতকৃত তালিকা।
শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শেও বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমানের কাছে এ তথ্য প্রকাশ করেন।
বৈঠকের সময় ড. খলিলুর রহমান মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আক্রান্তদের জন্য সমবেদনা জানান এবং দুর্যোগকবলিত মানুষের জন্য আরও মানবিক সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা চূড়ান্ত করেছে মিয়ানমার। ২০১৮ থেকে ২০২০ সময়কালে ৬ ধাপে মিয়ানমারকে ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা দেয় বাংলাদেশ।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানে নামলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখ মানুষ। আর আগে থেকেই আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ লোক রোহিঙ্গা আশ্রয়ে কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্প এবং ভাসানচরে রয়েছে। মিয়ানমারের অভিযানকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ আখ্যা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়। দুদেশের উচ্চপর্যায়ে সফর বিনিময় ও বৈঠক হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের হাতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তালিকা দেওয়া হয়।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি ও ড. ইউনূস কক্সবাজারে গিয়ে ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করেন।
সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেন, রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যেতে চান, তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
সেখানে ড. ইউনূস পরের ঈদটি যেন রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে নিজ ভূমিতে ফিরে করতে পারেন, সেজন্য নিজের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন এবং এজন্য তাদের কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর হাছে দোয়া গরি, সামনর ঈদত যেন অনারা নিজর বাড়িত যাইয়েরে ঈদ গরিন ফারন।