প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম
- আপডেট সময় : ১০:০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে
প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করা হবে দুই বাজারে। সেই ডিম বিক্রি হবে শীর্ষস্থানীয় ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব ডিম বৃহস্পতিবার থেকে খুচরা প্রতিটি ১২ টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে একাত্ম হয়ে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিপিআইসিসি আগামী ১৫ দিনের জন্য এই বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
এসময় খামার থেকে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় মিলবে প্রতিটি ডিম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সরকারের বাজার তদারকি সংস্থা, ডিম উৎপাদনকারি বড় খামারি ও পাইকারি আড়ৎদারদের সম্মিলিত ভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে।
এ উদ্যোগের অপর একজন সমন্বয়ক ‘ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (বিএবি) এর সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, খামার থেকে ভোক্তার হাতে ডিম পৌঁছাতে ৭ হাত বদল হয়। সম্প্রতি ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু এলাকায় কিছু অপেশাদার লোকজনও ডিমের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এতে হাত বদলের সংখ্যা আরও বেড়েছে। যত হাত বদল হবে, দাম ততই বাড়বে। তাই আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, হাত বদলের সংখ্যা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহায়তায় আমরা সে চেষ্টাই করছি।
বিপিআইসিসি বলছে, মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এবং দুপুরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পৃথক দু’টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন সন্ধ্যাতেই বিপিআইসিসি’র উদ্যোগে ডিম উৎপাদনকারী বড় খামারীদের সাথে যোগাযোগ করে একটি অনলাইন সভা আহ্বান করা হয়। পরেরদিন ১৬ অক্টোবর বড় খামারি, তেজগাঁও এবং কাপ্তান বাজারের পাইকারি আড়ৎদারদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়- যেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকায় ডিমের সরবরাহ ও বিপণন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
পরবর্তীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে সরকারি দামে ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সময় স্বল্পতার কারণে তেজগাঁও পাইকারি বাজারে যথাসময়ে ডিমের চালান পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না; তাই শুক্রবার থেকে তেজগাঁও বাজারের কার্যক্রম শুরু হবে। এ কার্যক্রমে ডিম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- কাজী ফার্মস, ডায়মন্ড এগস লিঃ, প্যারাগন পোল্ট্রি, পিপলস পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, নারিশ পোল্ট্রি, ভিআইপি শাহাদত পোল্ট্রি, নর্থ এগ লি., নাবিল এগ্রো, আর.আর.পি, রানা পোল্ট্রি, চাঁদ এগ্রো, কৃষিবিদ পোল্ট্রি, চিত্রা এগ্রো, আমান পোল্ট্রি এবং মেগা পোল্ট্রি। আশা করা হচ্ছে- আফিল এগ্রো এবং প্রাণ এগ্রোও পরবর্তীতে এ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হবে।
হঠাৎ অস্থিরতা হয়ে ওঠে ডিমের বাজার। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি দামে ডিম বিক্রির বিশেষ কার্যক্রম।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।