পেট্রাপোল সমন্বিত চেকপোস্টে যাত্রী টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন

- আপডেট সময় : ০৫:২৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ৩০৪ বার পড়া হয়েছে
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যেকোনো প্রতিবেশী দেশের জন্য রোল মডেল: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যেকোনো প্রতিবেশী দেশের জন্য রোল মডেল। দু’দেশের সম্পর্ক গভীর ও কালের বিবর্তনে উত্তীর্ণ। রক্ত দিয়ে লেখা এ সম্পর্ক ছিন্ন হবার নয়। এই সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্বের
নয়, এ সম্পর্ক ভাইয়ের সম্পর্ক। বর্তমানে দু’দেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় রয়েছে, তা অনুসরণ করার মতো। এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যেকোনো প্রতিবেশী দেশের জন্য রোল মডেল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁওয়ের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে শুক্রবার দ্বিতীয়

কার্গোগেইটের নির্মাণ এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন-১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃব্যে একথা বলেন বাংলাদেশের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এসময় তিনি
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য সহজ করতে অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষিত ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১২টি বন্দর চালু
রয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় ও নিশিথ প্রামাণিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয়
হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর
আইসিপি পেট্রাপোল বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এটি ভারতের নবম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর, যা বছরে প্রায় ২৩ লাখ যাত্রীকে সেবা প্রদান
করে। ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্মিত, নতুন এক হাজার তিনশ পাঁচ বর্গমিটারের এই টার্মিনাল ভবনটিতে যে কোনও সময়ে ৫৫০ জন যাত্রীকে সেবা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ভবনটি
যাত্রীদের চলাচল ঝামেলামুক্ত ও সহজতর করবে এবং একই ছাদের নিচে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, কাস্টম এবং সুরক্ষা সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ২৫ বছর মেয়াদি ‘মৈত্রী চুক্তির’ মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কের যে
গোড়াপত্তন করে গিয়েছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তা আরও সুসংহত ও বহুমুখী করেছেন। তারই হাত ধরে গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, ছিটমহল বিনিময়,
ট্রানজিট সুবিধা প্রদান ও সমুদ্রসীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতের সীমান্ত নীতির ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির কারণে বাংলাদেশ এখন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে। ভারত-
বাংলাদেশ কূটনৈতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চাশ বছর উদযাপন করছে এ বছর। সকল বিশিষ্ট অতিথি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করার এবং প্রয়োজনীয় আধুনিক অবকাঠামো স্থাপনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন যাতে মানুষে মানুষে যোগাযোগ আরও সহজ হয়। ভারতীয়
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পেট্রাপোলে একটি অত্যাধুনিক যাত্রী টার্মিনাল ভবন (২) নির্মাণ করছে যাতে অর্ধ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এবং ২০২২ সালের মধ্যে এটি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।