ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পেঁয়াজ মজুদদের কারণেই বাজার অস্থিতিশীল : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অধিক মুনাফার আশায় পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে। পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য মজুদদারিরা দায়ী

 

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। সরকারী হিসাবে চলতি বছর পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। বর্তমান মজুত ১৮ লাখ ৩০ হাজার টনের মতো। পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গত সপ্তাহে জানায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ পড়ে ২৮ থেকে ৩০ টাকা।

কৃষকদের সুরক্ষা দিতে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে সরকার। চলতি মাসের শুরুতে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। গত সপ্তাহের শেষ দিকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি মোকামে পেঁয়াজের দর ওঠে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা। তখন খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৮০ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়েও দাম বেড়েছিল। চলতি মে মাসে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল, এখন কমে এসেছে।

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে, এমন খবরেই চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা এবং খুচরা পর্যায়েও কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম।

মজুদদারির কারণেই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল : বাণিজ্যমন্ত্রী

রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাফ জানিয়ে দিলেন, অধিক মুনাফার আশায় পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে। পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য মজুদদারিরা দায়ী।

মজুদদারিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা না জানালেও বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, এই সংকট শিগগির কেটে যাবে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। কারণ পেঁয়াজ আমদানির পারমিট কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে।

টিপু মুনশি বলেন, দেশের কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ রাখা হয়। দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিস্থিকি সামাল দিতে আমদানি ছাড়া উপায় নেই। আমদানির পর বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে আশা করেন মন্ত্রী।

রবিবার ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পেঁয়াজ মজুদদের কারণেই বাজার অস্থিতিশীল : বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

অধিক মুনাফার আশায় পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে। পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য মজুদদারিরা দায়ী

 

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। সরকারী হিসাবে চলতি বছর পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। বর্তমান মজুত ১৮ লাখ ৩০ হাজার টনের মতো। পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গত সপ্তাহে জানায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ পড়ে ২৮ থেকে ৩০ টাকা।

কৃষকদের সুরক্ষা দিতে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে সরকার। চলতি মাসের শুরুতে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। গত সপ্তাহের শেষ দিকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি মোকামে পেঁয়াজের দর ওঠে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা। তখন খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৮০ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়েও দাম বেড়েছিল। চলতি মে মাসে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল, এখন কমে এসেছে।

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে, এমন খবরেই চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা এবং খুচরা পর্যায়েও কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম।

মজুদদারির কারণেই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল : বাণিজ্যমন্ত্রী

রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাফ জানিয়ে দিলেন, অধিক মুনাফার আশায় পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে। পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য মজুদদারিরা দায়ী।

মজুদদারিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা না জানালেও বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, এই সংকট শিগগির কেটে যাবে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। কারণ পেঁয়াজ আমদানির পারমিট কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে।

টিপু মুনশি বলেন, দেশের কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ রাখা হয়। দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিস্থিকি সামাল দিতে আমদানি ছাড়া উপায় নেই। আমদানির পর বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে আশা করেন মন্ত্রী।

রবিবার ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।