পৃথিবীর দূষিত ১০টি নদীর ২টি বাংলাদেশে!
- আপডেট সময় : ১০:৪৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
পৃথিবীর ১০টি নদী সবচেয়ে দূষিত। তার মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ২টি নদী। নদী দুটো হচ্ছে, পদ্মা ও যমুনা। এই নদী দুটো সবচেয়ে বেশি দূষণ বহন করছে। এই নদীতে বাংলাদেশের পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ বাড়াচ্ছে তা নয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোরও দূষণ এই নদী দিয়ে গড়াচ্ছে। এবং তা নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, আমাদের ১০০ দিনের কর্মসূচিতে এক্সটেন্ডেন্ট প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটির কথা আছে। অর্থাৎ যারা প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করবে, তাদের আমরা দূষণের জন্য দায়ী করবো।
এজন্য তাদের একটি অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণ করে দেব। উৎপাদন ও নকশায় কীভাবে তারা প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনবে, সেটাও বলা হবে। আমাদের ১০০ দিনের কর্মসূচিতে বলেছিলাম, চলতি মাসের মধ্যেই এ সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত করবো, আমাদের সেই কাজ চলছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার করবে, তাদেরকে দূষণের জন্য দায়ী করা হবে বললেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৪ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, কাজেই ইপিআরের খসড়া বড়ো বড়ো কোম্পানিগুলো ও চেম্বারের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যখন প্লাস্টিকের কথা বলি, সেটা ইপিআর পরবর্তী সার্কুলার ইকনোমির সঙ্গে জড়িত। আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি।
ঢাকা শহরের কোন কোন জায়গায় আমরা বনায়ন করতে পারি, কী কী গাছ লাগাতে পারি, তা ঠিক করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পূর্ত মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মিলে আমরা একটা ছক দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। আমরা সবুজ এলাকা হারিয়েছি, জলাশয়ও নেই। কাজেই আমরা মনে করি, নগর উন্নয়নে আমাদের যে মূল পরিকল্পনা আছে, সেটার মধ্যে এসবও নিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যেটা করতে পারি, কত শতাংশ থাকতে হবে, সেটা নির্ধারণ করতে পারি। কিন্তু বিশ্বজুড়ে যে মান আছে, সেটা বাংলাদেশে কতটুকু কার্যকর করতে পারবো; আমরা জানি না। ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এখানে আমরা কীভাবে সেই জায়গাটা বের করবো? এরইমধ্যে আমরা কিছু কিছু কাজ শুরু করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনতে কৃষিতে অনেক ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফাইড খাবার নিয়ে কাজ হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে অনেক টিকা নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিকভাবে এ ক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। এগুলো যাতে নিরাপদভাবে হয়। মানুষের জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্য আছে, তাদের জন্য এ ধরনের কার্যক্রম আমরা কীভাবে নিরাপদ করতে পারি, এখানে যাতে কোনো অপরাধ কিংবা অনৈতিক কিছু না হতে পারে, সে জন্য আমরা একটি পলিসি করেছি।