ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

৩৩ হাজারের অধিক মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। শারদীয় উৎসবে ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শেখ হাসিনার ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন হাসিনা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশ। ইলিশের বাড়িতেই ভরমৌসুমে কেজি ওজনের ইলিশ ১৬শ’ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকা আর ৩০০ গ্রামের ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। যখন ইলিশের বাড়ির এই হাল, তখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাতে ইলিশের বাজার আরও চড়া। সাধারণ মানুষের পাতে ইলিশ দুঃস্বপ্ন।

এমন পরিস্থিতিতে যেখানে বাংলাদেশের মানুষের ইলিশ কেনা নাগালের বাইরে, সেখানে পূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। উল্লেখ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি মন্ডপে জাঁকজমকের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হয়ে থাকে বাংলাদেশে।

চলতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ হাজারের অধিক মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। শারদীয় উৎসবে ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ মাছ খেতে পারেন, সেজন্য ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

ফরিদা আখতার বলেন, আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ। আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ পারবে।

ফরিদা আখতার পরিষ্কার ভাষায় বলেন, বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। হাসিনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বলেন, ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি।

তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন। মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার জল বন্টনের সমস্যার সমাধার করা উচিত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পূজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ

আপডেট সময় : ০৯:০০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

৩৩ হাজারের অধিক মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। শারদীয় উৎসবে ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শেখ হাসিনার ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন হাসিনা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশ। ইলিশের বাড়িতেই ভরমৌসুমে কেজি ওজনের ইলিশ ১৬শ’ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকা আর ৩০০ গ্রামের ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। যখন ইলিশের বাড়ির এই হাল, তখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাতে ইলিশের বাজার আরও চড়া। সাধারণ মানুষের পাতে ইলিশ দুঃস্বপ্ন।

এমন পরিস্থিতিতে যেখানে বাংলাদেশের মানুষের ইলিশ কেনা নাগালের বাইরে, সেখানে পূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। উল্লেখ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি মন্ডপে জাঁকজমকের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হয়ে থাকে বাংলাদেশে।

চলতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ হাজারের অধিক মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। শারদীয় উৎসবে ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ মাছ খেতে পারেন, সেজন্য ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

ফরিদা আখতার বলেন, আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ। আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ পারবে।

ফরিদা আখতার পরিষ্কার ভাষায় বলেন, বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। হাসিনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বলেন, ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি।

তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন। মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার জল বন্টনের সমস্যার সমাধার করা উচিত।