পুতিনের সঙ্গে চুক্তি চান ট্রাম্প? রুশ-নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ইঙ্গিত হোয়াইট হাউসের

- আপডেট সময় : ০৩:০৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতির চেষ্টা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করতেও উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।
এ অবস্থায় রাশিয়ার ওপর কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ভাবছে আমেরিকা। এরই মধ্যে আমেরিকার বিদেশ দফতর এবং রাজস্ব দফতরকে একটি খসড়া তালিকা তৈরির কথা বলেছে হোয়াইট হাউস।
কোন কোন ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা যায়, তা বিবেচনা করে দেখতে চাইছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসন সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে একটি খসড়া তালিকা তৈরির জন্য ইতিমধ্যে বিদেশ দফতর এবং রাজস্ব দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, খসড়া তালিকা থেকে উঠে আসা বিষয়গুলি নিয়ে আগামী দিনে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে আমেরিকা। এর অন্যতম উদ্দেশ্য মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে মসৃণ করা।
আমেরিকার প্রশাসনের সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু সংস্থা এবং ব্যক্তির উপর মার্কিন নিষিধাজ্ঞা শিথিল করার একটি প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে।
আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিভাগের আধিকারিকেরা এই ধরনের খসড়া তৈরির কাজ মাঝেমধ্যেই করে থাকেন। তবে সম্প্রতি রুশ-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের আবহে হোয়াইট হাউস থেকে নির্দিষ্ট ভাবে এই খসড়া তৈরির গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে সম্ভবত কোনও চুক্তি করতে চাইছেন ট্রাম্প এবং তাঁর পরামর্শদাতারা।
সেই কারণেই তাঁরা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বদলে রাশিয়ার থেকে কী চাইতে পারে আমেরিকা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলেছেন। রাশিয়ার উপরে আর সাইবার নজরদারি চালাতে চায় না ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন সাইবার কম্যান্ড রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত নজরদারি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ট্রাম্পের মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চেয়েও আমেরিকার জন্য বেশি চিন্তার বিষয় অবৈধ অভিবাসীরা।
সমাজমাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, পুতিনকে নিয়ে বেশি ভাবার বদলে অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যার দিকেই নজর দিতে চান তিনি।