পিলখানা হত্যাকান্ড ছিল পরাজিত শত্রুর ষড়যন্ত্র:গোলাম মোস্তফা ভুইয়া

- আপডেট সময় : ০৮:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
বিডিআর বিদ্রোহের নামে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়েছিল পিলখানায়। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালোদিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। পিলখানা বিডিয়ার হত্যাকান্ড ছিল বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ। করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর ট্রাজিডি স্মরণে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্তর্জাতিক আন্দোলন কমিটি আয়োজিত সমাবেশে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেদিন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতেই ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করতেই সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তি ফ্যাসীবাদী সরকারের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। জাতি হিসাবে আমাদের দুর্ভাগ্য, দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশী সময়েও বাংলাদেশ ঘর সামলাতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে নাই। পারে নাই শক্ত মাটিতে পা রেখে চলতে। কে বাংলাদেশের বন্ধু এবং কে শত্রু তাও সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য যে রাষ্ট্রের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে, সেই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বার বার শুকুনির কালো থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওপর আধিপত্যবাদী শক্তির দখলদারিত্ব কায়েমের লক্ষ্যে ফ্যাসীবাদী শাসককে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশই ছিল বিডিআর বিদ্রোহের নাটক সাজিয়ে পিলখানায় নির্মম হত্যাকান্ড। এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না, ছিল পরিকল্পিত হত্যাকান্ড, যা দিবালোকের মত স্পষ্ট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে দেশকে চোরাবালির সন্ধিক্ষণে দাঁড় করানো হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের কবর রচনা করে নৈরাজ্যবাদের জন্মি দিয়েছিল পতিত ফ্যাসীবাদী আওয়ামী সরকার। পিলখানা হত্যাকান্ডে আমরা জাতির সূর্য সন্তানদের হারিয়েছি। তাদের হারানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ভিতকে আঘাত করা হয়েছি। হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ডদের অনেকেই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। সরকার পতনের পর অনকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা জুলাই অভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠিত সরকারের জরুরী করনীয়।