ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠ ছিলেন হেলাল হাফিজ: ড. ইউনূস ৭১’র স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান ইউনূসের বাংলাদেশের মসজিদ-মন্দির গির্জায় কোন পাহারা বসাতে হবে না ভারত থেকে ট্রেনে লপা ৪৬৮ টন আলু আমদানি দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে ড. ইউনূস জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট প্রকাশের অনুমোদন পেলো ভারত বাংলাদেশের জনগণকে শত্রু বানাচ্ছে: বিজন কান্তি সরকার ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ড. ইউনূসের বৈঠক, তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রকৃত তথ্য জানতে হবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সাম্প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করতে হবে: প্রধান বিচারপতির হাসিনা সরকার আমলে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার!

পিছিয়ে পড়া নারীদের জীবনে দ্বীপ জ্বালাতে চান তিয়াশা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আমিনুল হক

চোখে মুখে তার পিছিয়ে পড়া নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে নেবার স্বপ্ন। নারী সমাজকে অর্থনীতির সড়কে একিভূত করা না গেলে, অর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য অলস হাতগুলো কর্মীর হাতে পরিণত করার সংকল্প নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তিয়াশা তথা শাহরীমা মাহজাবীন। বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীরা যে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ জীবনযাত্রায় সামিল হচ্ছেন, তা বলা যাবে না। সমাজে নারীদের একটা বড় অংশই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে।

তার মধ্যে গ্রামীণ নারীদের একটা মোটা দাগের অংশই কর্মহীন। তাদের অনেকের সংসারে ৩-৫জন সন্তান। আয়ের উৎস একমাত্র গৃহকর্তা। তার যদি মাঝে মধ্যে কাজ বন্ধ থাকে, তখনকার পরিস্থিতিটা আমাদের বুঝতে অনুবিধার কথা নয়। এমন পরিস্থিতিতে গৃহবধূ যদি কোন হাতের কাজ করে দু’পয়সা রোজগার করতে পারেন, সেটা সংসারের জন্য নিয়ামক। পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীর অলস হাতকে কর্মীর হাতে রূপান্তর করাটাই তিয়াশার অন্যতম স্বপ্ন।

তিয়াশা সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের সমানের দিকে এগিয়ে নিতে চান। তিনি মনে করেন, নারী সমাজ অবলা নয়। মাতৃত্বের ভালোবাসায় এই সমাজকে নারীই এগিয়ে নেবার সংকল্প নিতে পারেন। নারীর হাত ধরে পৃথিবীর বহু নজির সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধের ময়দান থেকে মহাকাশ সবখানেই নারীর অংশ গ্রহণ।

তিয়াশার ভাবনার আকাশ বিশাল। তার অঙ্গিকার সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে হলে পিছিয়ে পড়া নারীদের দজ্ঞ কর্মী হিসাবে গড়ে তোলতে হবে। বেগম রোকেয়ার ভাবনার পথে হাটতে গিয়ে দেখা পেয়েছেন মাদার তেরেসার। নারীর প্রতি সম্মান বেগম রোকেয়াকে আজীবন বাচিয়ে রাখবে। নারী শিক্ষার আলোকবর্তী নিয়ে তিনিই পথ দেখিয়েছেন। তিনি বেচে থাকবেন প্রতিটি মানুষের হৃদমন্দিরে। তিয়াশা লেখাপড়াও করেছেন মহীয়সী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।

হস্তাশিল্পের কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছেন তিয়াশা। নারী কর্মীদের দিয়ে বুটিকের বিভিন্ন আইটেমের কাজ করাচ্ছেন। ঢাকা ও পাশ^বর্তী এলাকায় তার বেশ কিছু নারী কর্মী রয়েছেন, যারা তার কাজ করেন। আগামীতে আরও বড় আকারে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। বিশেষ করে এলাকাভিত্তিক এবং অনগ্রসর এলাকায় গিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি হচ্ছেন বলে জানালেন।

তিয়াশা মনে করেন, কে বড় কে ছোট সেই ভাবনা থেকে দূরে সরে আসতে হবে। সবার ওপরে কাজ সত্য। কাজই মানুষকে সম্মানিত করে তোলে। চলনে বলনে আধুনিক এই সমাজচিন্তিকের ভাবনার কারণেই তিনি আমাদের সমাজের শুভবোধের সারথি। একজন পিছিয়ে পড়া নারীর জন্য তার দুয়ার সকল-সন্ধ্যা অষ্টপ্রহর খোলা। তিনি আমাদের সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জীবনে দ্বীপ জ¦ালাতে চান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পিছিয়ে পড়া নারীদের জীবনে দ্বীপ জ্বালাতে চান তিয়াশা

আপডেট সময় : ১০:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

 

আমিনুল হক

চোখে মুখে তার পিছিয়ে পড়া নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে নেবার স্বপ্ন। নারী সমাজকে অর্থনীতির সড়কে একিভূত করা না গেলে, অর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য অলস হাতগুলো কর্মীর হাতে পরিণত করার সংকল্প নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তিয়াশা তথা শাহরীমা মাহজাবীন। বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীরা যে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ জীবনযাত্রায় সামিল হচ্ছেন, তা বলা যাবে না। সমাজে নারীদের একটা বড় অংশই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে।

তার মধ্যে গ্রামীণ নারীদের একটা মোটা দাগের অংশই কর্মহীন। তাদের অনেকের সংসারে ৩-৫জন সন্তান। আয়ের উৎস একমাত্র গৃহকর্তা। তার যদি মাঝে মধ্যে কাজ বন্ধ থাকে, তখনকার পরিস্থিতিটা আমাদের বুঝতে অনুবিধার কথা নয়। এমন পরিস্থিতিতে গৃহবধূ যদি কোন হাতের কাজ করে দু’পয়সা রোজগার করতে পারেন, সেটা সংসারের জন্য নিয়ামক। পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীর অলস হাতকে কর্মীর হাতে রূপান্তর করাটাই তিয়াশার অন্যতম স্বপ্ন।

তিয়াশা সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের সমানের দিকে এগিয়ে নিতে চান। তিনি মনে করেন, নারী সমাজ অবলা নয়। মাতৃত্বের ভালোবাসায় এই সমাজকে নারীই এগিয়ে নেবার সংকল্প নিতে পারেন। নারীর হাত ধরে পৃথিবীর বহু নজির সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধের ময়দান থেকে মহাকাশ সবখানেই নারীর অংশ গ্রহণ।

তিয়াশার ভাবনার আকাশ বিশাল। তার অঙ্গিকার সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে হলে পিছিয়ে পড়া নারীদের দজ্ঞ কর্মী হিসাবে গড়ে তোলতে হবে। বেগম রোকেয়ার ভাবনার পথে হাটতে গিয়ে দেখা পেয়েছেন মাদার তেরেসার। নারীর প্রতি সম্মান বেগম রোকেয়াকে আজীবন বাচিয়ে রাখবে। নারী শিক্ষার আলোকবর্তী নিয়ে তিনিই পথ দেখিয়েছেন। তিনি বেচে থাকবেন প্রতিটি মানুষের হৃদমন্দিরে। তিয়াশা লেখাপড়াও করেছেন মহীয়সী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।

হস্তাশিল্পের কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছেন তিয়াশা। নারী কর্মীদের দিয়ে বুটিকের বিভিন্ন আইটেমের কাজ করাচ্ছেন। ঢাকা ও পাশ^বর্তী এলাকায় তার বেশ কিছু নারী কর্মী রয়েছেন, যারা তার কাজ করেন। আগামীতে আরও বড় আকারে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। বিশেষ করে এলাকাভিত্তিক এবং অনগ্রসর এলাকায় গিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি হচ্ছেন বলে জানালেন।

তিয়াশা মনে করেন, কে বড় কে ছোট সেই ভাবনা থেকে দূরে সরে আসতে হবে। সবার ওপরে কাজ সত্য। কাজই মানুষকে সম্মানিত করে তোলে। চলনে বলনে আধুনিক এই সমাজচিন্তিকের ভাবনার কারণেই তিনি আমাদের সমাজের শুভবোধের সারথি। একজন পিছিয়ে পড়া নারীর জন্য তার দুয়ার সকল-সন্ধ্যা অষ্টপ্রহর খোলা। তিনি আমাদের সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জীবনে দ্বীপ জ¦ালাতে চান।