ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাটলো হাজারো মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১১৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অরুনিদ্ধ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্যাপিত হল পহেলা বৈশাখ তথা বর্ষবরণ উৎসব। শুক্রবার ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং বৈশাখী আয়োজনে সামিল হন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে আসা অনেকে। তারা গর্বিত ও অভিভূত ঢাকার নজির গড়া বর্ষবরণ আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে। একুশে বইমেলার পর এবারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও আগরতলা, আসাম, মেঘালয় থেকে উল্লেখযোগ্য শিল্পী, সাহিত্যিকদের সমাগম ঘটে ঢাকায়। ঢাকার রমনা বটতলায় ১৯৬৫ সাল থেকে ছায়ানট বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করে আসছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন হাজারো মানুষ। তাদের অনেকেই নেচে গেয়ে রাজপথ কাপিয়ে তোলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে চৈত্রসংক্রান্তি আয়োজন ছিল সমৃদ্ধ। নাচ, গান, আবৃত্তিসহ আয়োজনে বিদায় জানানো হয় চৈত্রকে। এদিনই পহেলা বৈশাখ তথা বর্ষবরণের সফল আয়োজনের জন্য নিজেদের প্রস্তুতির তুলিতে শেষ টান পড়ে। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে বাঙালি উৎসব পালনে একজোট হয়।

চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এককালে শাকান্ন পালিত হবার রেওয়াজ ছিল। শিবের গাজন, গম্ভীরা পূজা, চৈত্র সংক্রান্তি লোকজ নীল পূজা, নীল উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তির লোকজ চড়ক পূজা, চৈত্র সংক্রান্তির লোকজ নামাজ, তালতলার শিরনি, শরবতসহ নানান লোকজ উৎসব।

কখনো ধর্মীয় বিশ্বাস, কখনো আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর লোকায়িত উৎসবের ধ্বনি পাওয়া যায় চৈত্র সংক্রান্তির দিনটিকে ঘিরে। নীলগাই বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় নীলগাইকে স্থান দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল প্রচণ্ড খড়তাপে সমাগমটা কিছু কম হবার। কিন্তু  সকল ধারণাকে ডিঙ্গিয়ে সর্বস্তরের মানুষ মঙ্গল শোভাযাত্রায় সামিল হয়। সম্প্রতির নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বছরের মতো শেষ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালে বিশ্ববৈচিত্র হিসাবে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাটলো হাজারো মানুষ

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

অরুনিদ্ধ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্যাপিত হল পহেলা বৈশাখ তথা বর্ষবরণ উৎসব। শুক্রবার ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং বৈশাখী আয়োজনে সামিল হন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে আসা অনেকে। তারা গর্বিত ও অভিভূত ঢাকার নজির গড়া বর্ষবরণ আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে। একুশে বইমেলার পর এবারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও আগরতলা, আসাম, মেঘালয় থেকে উল্লেখযোগ্য শিল্পী, সাহিত্যিকদের সমাগম ঘটে ঢাকায়। ঢাকার রমনা বটতলায় ১৯৬৫ সাল থেকে ছায়ানট বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করে আসছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন হাজারো মানুষ। তাদের অনেকেই নেচে গেয়ে রাজপথ কাপিয়ে তোলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে চৈত্রসংক্রান্তি আয়োজন ছিল সমৃদ্ধ। নাচ, গান, আবৃত্তিসহ আয়োজনে বিদায় জানানো হয় চৈত্রকে। এদিনই পহেলা বৈশাখ তথা বর্ষবরণের সফল আয়োজনের জন্য নিজেদের প্রস্তুতির তুলিতে শেষ টান পড়ে। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে বাঙালি উৎসব পালনে একজোট হয়।

চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এককালে শাকান্ন পালিত হবার রেওয়াজ ছিল। শিবের গাজন, গম্ভীরা পূজা, চৈত্র সংক্রান্তি লোকজ নীল পূজা, নীল উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তির লোকজ চড়ক পূজা, চৈত্র সংক্রান্তির লোকজ নামাজ, তালতলার শিরনি, শরবতসহ নানান লোকজ উৎসব।

কখনো ধর্মীয় বিশ্বাস, কখনো আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর লোকায়িত উৎসবের ধ্বনি পাওয়া যায় চৈত্র সংক্রান্তির দিনটিকে ঘিরে। নীলগাই বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় নীলগাইকে স্থান দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল প্রচণ্ড খড়তাপে সমাগমটা কিছু কম হবার। কিন্তু  সকল ধারণাকে ডিঙ্গিয়ে সর্বস্তরের মানুষ মঙ্গল শোভাযাত্রায় সামিল হয়। সম্প্রতির নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বছরের মতো শেষ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালে বিশ্ববৈচিত্র হিসাবে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।