পহেলা বৈশাখের বর্ণাঢ্য আয়োজনে মেতে ওঠেছে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম
- আপডেট সময় : ০৩:২২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ৬২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
পহেলা বৈশাখ তথা বাঙলা নববর্ষ বরণ উৎসব ঘিরে বরাবরের মতো এবারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মেতে ওঠে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম। সুদীর্ঘ ৪৬ বছরের ধারাবাহিক আয়োজনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অতিমারি। কিন্তু এবারে মুক্ত পরিবেশে দুই বছর পর বৈশাখী আয়োজনটা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে জমকালো ভাবে পালন করতে চায় চট্টগ্রাম।
উপমহাদেশের সশস্ত্র বিপ্লবের মহানায়ক মাস্টার দা সূর্যসেন আর তার অনুসারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ মহান বিপ্লবী, কবি-সাহিত্যিকের স্মৃতিধন্য চট্টগ্রাম সাংস্কৃতির পীঠস্থান। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নানা েেপশার মানুষের মহামিলন স্থল হচ্ছে ডিসি হিল। সেইস হিলের নজরুল স্কোয়ারে বাংলা বর্ষবরণের আয়োজন পালা শেষ। রাত পোহালেই ‘এসো বৈশাখ এসো’–সম্মিলিত সুরে ঘুম ভাঙ্গবে চট্টগ্রামবাসীর।
সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে চট্টগ্রাম ডি সি হিলের নজরুল স্কয়ার প্রাঙ্গণে প্রতিবারের মত এবারও বাঙালীর প্রধান উৎসব ‘বৈশাখী উৎসব’ পালনের কর্মসূচি ও প্রস্তুতি ইতিমধ্যে তুলির শেষ আচর পড়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ছ’টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা বর্ষবরণ ‘বৈশাখী উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, অন্যান্য বছর বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকলেও গত বছরের মত এবারও রমজানের জন্যে শুধুমাত্র একদিন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ত্রুটিমুক্ত আয়োজন সম্পন্ন করতে সোমবার সন্ধ্যায় পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে আহবায়ক নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দারের সভাপতিত্বে সংস্কৃতিক কর্মী ও নাট্যকর্মীদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কর্মসূচীকে যথাসম্ভব বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য করার নিমিত্তে আলোচনায় অংশ নেয়, অলক ঘোষ, সুচরিত দাশ খোকন, মোহাম্মদ আলী টিটো, আবদুল হালিম দোভাষ, আবদুল হাদী, শান্তনুদাশ, এ.কে.এম ইসমাইল, বাপ্পা চৌধুরী, রমিজ আহমেদ, বিক্রম চৌধুরী, কংকন দাশ, নাজমা খাতুন, রিপন বড়ুয়া প্রমুখ।
‘পহেলা বৈশাখ বাঙালীর উৎসব সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’ এই শিরোনামে বিগত ৪৬ বছরের মত এবারও কর্মসূচীতে থাকছে প্রথমে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উদ্বোধন। এরপর নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…’ সঙ্গীত পরিবেশনা। এরপর পরিবেশিত হবে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠন সমুহের দলীয় সংগীত, দলীয় নৃত্য ও দলীয় আবৃত্তি পরিবেশনা।
দলীয় সঙ্গীত : সংগীত ভবন, রক্তকরবী, ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদ, গীতধ্বনি, সৃজামী সাংস্কতিক অংগন, কুসুম ললিতকলা একাডেমি, নিষ্পাপ অটিজম স্কুল ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী চট্টগ্রাম।
দলীয় নৃত্য : নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি, ওড়িশী এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্র, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমী, নৃত্য নিকেতন, দি স্কুল অব ক্ল্যাসিক অ্যান্ড ফোক ডান্স।
দলীয় আবৃত্তি: বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, নরেন আবৃত্তি একাডেমী, তারুণ্যের উচ্ছাস, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, ত্রিতরঙ্গ আবৃত্তি দল ও স্বরনন্দন প্রমিত বাংলা চর্চা কেন্দ্র।