ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিকল্পিত হত্যার শিকার নারী ‘চিকিৎসক’

ভয়েস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১ ২৮৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপি. ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কলাবাগান থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমন দাবি তোলা হয়েছে পরিবারের তরফে। সোমবার বিকালে চিকিৎসকের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তোলেন মামা হারুন অর রশীদ মৃধা।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা হেফাজতে চারজন

ঢাকার কলাবাগান থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমন দাবি তোলা হয়েছে পরিবারের তরফে। সোমবার বিকালে চিকিৎসকের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তোলেন মামা হারুন অর রশীদ মৃধা।

লিপি মারা গিয়েছে, তা জানতে পারেন সকালে। এরপর বাসায় এসে দেখতে পান লিপির রুমে ছাই পড়ে রয়েছে। এটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে যাতে করে মানুষ বোঝে সে আগুনে মারা গেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। লিপির রুমে আগুনের চিত্র থাকলেও এটি সাজানো ঘটনা। এটা সত্য নয়। লিপির ঘাড়ে ও পেছনে কোপের দাগ। এটি পরিকল্পিত হত্যা।

তিনি আরও জানান, আমার ভাগনি নিহত কাজী সাবিরা রহমান লিপিরা তিন ভাই-বোন। দুই ভাই অস্ট্রেলিয়াতে। চট্টগ্রাম থেকে ডাক্তারি পাস করার পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছে। এখন গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশের ধারণা, এই চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে। তার পিঠে ও গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। আলামত সংগ্রহের জন্য বাড়িতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে গোয়েন্দা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, কলাবাগানের বাসার তিনটি কক্ষের মধ্যে একটিতে থাকতেন লিপি। বাকি দুটি কক্ষ সাবলেটে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার স্বামী শামসুর আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন, থাকেন শান্তিনগরে। তবে সাবলেটে দুই রুম ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন বাড়ির মালিক মাহবুব ইসলাম।

এদিকে এ বিষয়ে তার মামা বলেন, লিপির সঙ্গে একটি মেয়ে সাবলেট থাকত বলে জানি। মেয়েটি লেখাপড়া করে। লিপির মায়ের বাসা পাশেই। ছেলে-মেয়ে দুটি বাসাতেই থাকতো। ছেলের বয়স ২১। ছেলেটি কানাডা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর মেয়ের বয়স ১০ বছর। মেয়েটি কলাবাগানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পরিকল্পিত হত্যার শিকার নারী ‘চিকিৎসক’

আপডেট সময় : ১০:২৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপি. ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কলাবাগান থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমন দাবি তোলা হয়েছে পরিবারের তরফে। সোমবার বিকালে চিকিৎসকের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তোলেন মামা হারুন অর রশীদ মৃধা।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা হেফাজতে চারজন

ঢাকার কলাবাগান থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমন দাবি তোলা হয়েছে পরিবারের তরফে। সোমবার বিকালে চিকিৎসকের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তোলেন মামা হারুন অর রশীদ মৃধা।

লিপি মারা গিয়েছে, তা জানতে পারেন সকালে। এরপর বাসায় এসে দেখতে পান লিপির রুমে ছাই পড়ে রয়েছে। এটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে যাতে করে মানুষ বোঝে সে আগুনে মারা গেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। লিপির রুমে আগুনের চিত্র থাকলেও এটি সাজানো ঘটনা। এটা সত্য নয়। লিপির ঘাড়ে ও পেছনে কোপের দাগ। এটি পরিকল্পিত হত্যা।

তিনি আরও জানান, আমার ভাগনি নিহত কাজী সাবিরা রহমান লিপিরা তিন ভাই-বোন। দুই ভাই অস্ট্রেলিয়াতে। চট্টগ্রাম থেকে ডাক্তারি পাস করার পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছে। এখন গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশের ধারণা, এই চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে। তার পিঠে ও গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। আলামত সংগ্রহের জন্য বাড়িতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে গোয়েন্দা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, কলাবাগানের বাসার তিনটি কক্ষের মধ্যে একটিতে থাকতেন লিপি। বাকি দুটি কক্ষ সাবলেটে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার স্বামী শামসুর আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন, থাকেন শান্তিনগরে। তবে সাবলেটে দুই রুম ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন বাড়ির মালিক মাহবুব ইসলাম।

এদিকে এ বিষয়ে তার মামা বলেন, লিপির সঙ্গে একটি মেয়ে সাবলেট থাকত বলে জানি। মেয়েটি লেখাপড়া করে। লিপির মায়ের বাসা পাশেই। ছেলে-মেয়ে দুটি বাসাতেই থাকতো। ছেলের বয়স ২১। ছেলেটি কানাডা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর মেয়ের বয়স ১০ বছর। মেয়েটি কলাবাগানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে।