ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠ ছিলেন হেলাল হাফিজ: ড. ইউনূস ৭১’র স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান ইউনূসের বাংলাদেশের মসজিদ-মন্দির গির্জায় কোন পাহারা বসাতে হবে না ভারত থেকে ট্রেনে লপা ৪৬৮ টন আলু আমদানি দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে ড. ইউনূস জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট প্রকাশের অনুমোদন পেলো ভারত বাংলাদেশের জনগণকে শত্রু বানাচ্ছে: বিজন কান্তি সরকার ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ড. ইউনূসের বৈঠক, তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রকৃত তথ্য জানতে হবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সাম্প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করতে হবে: প্রধান বিচারপতির হাসিনা সরকার আমলে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার!

নবী মুহাম্মদের কথা বললেও মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চীনের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০ ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনলাইন ডেস্ক

জুমরাত দাওয়ুতের তিন সন্তানের জন্য শুক্রবার ছিল ভয়ানক। এদিনে চীনের তদন্ত কর্মকর্তারা শিনজিয়াংয়ের উরুমকির স্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করেন। কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, ঘরে তাদের বাবা মা নামাজ পড়েছেন কিনা বা ইসলামিক অভিবাদন বিনিময় কিংবা ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর সম্পর্কে কোন কথা বলা হয়েছে কিনা। এসবের জবাবে কেউ হ্যাঁ বললে পরিবারটিকে ‘বন্দিশিবিরে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জুমরাতের ভাষ্যমতে, উইঘুর মুসলিমদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। তার সন্তানদের তাদের মতই ভুক্তভোগী হতে হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রতি সোমবার স্কুল নয় তিনি সন্তানদের ফ্ল্যাটের ব্লকের উঠোনে নিয়ে যেতেন চীনের পতাকা উত্তোলন দেখানোর জন্য । এটি ছিল বাধ্যতামূলক যা তীব্র শীতই হোক বা কড়া রোদের মধ্যে হোক। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের উৎফুল্ল থাকাও বাধ্যতামূলক। জুমরাত বলেন, তিনি সন্তানদের নিয়ে গতবছর যুক্তরাষ্ট্র পালিয়ে আসার আগে চীনের নতুন এক বন্দিশালায় দুই মাসের মত ছিলেন। যেখানে আরো ১০ লাখের মত মানুষ রয়েছে যাদের অধিকাংশই উইঘুর।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে গত তিন বছর ধরে অন্তত ১০ লাখ উইঘুর যে দুর্দশায় রয়েছে তা ব্যক্তিপর্যায়ে প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব। এছাড়া ঐ অঞ্চলটি পরিদর্শনে যাওয়া বিদেশি সাংবাদিকদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। এর আগে গত মাসে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের (এএসপিআই) রিপোর্টে দাবি করা হয়, শিনজিয়াং প্রদেশের হাজার হাজার মসজিদ পুরোপুরি গুঁড়িয়ে বা আংশিক ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিয়েছে চীন। সেইসঙ্গে প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিমকে জোরপূর্বক তাদের ধর্মীয় আচার পালন ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ইকোনোমিস্ট, গার্ডিয়ান

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নবী মুহাম্মদের কথা বললেও মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চীনের

আপডেট সময় : ০৩:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক

জুমরাত দাওয়ুতের তিন সন্তানের জন্য শুক্রবার ছিল ভয়ানক। এদিনে চীনের তদন্ত কর্মকর্তারা শিনজিয়াংয়ের উরুমকির স্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করেন। কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, ঘরে তাদের বাবা মা নামাজ পড়েছেন কিনা বা ইসলামিক অভিবাদন বিনিময় কিংবা ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর সম্পর্কে কোন কথা বলা হয়েছে কিনা। এসবের জবাবে কেউ হ্যাঁ বললে পরিবারটিকে ‘বন্দিশিবিরে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জুমরাতের ভাষ্যমতে, উইঘুর মুসলিমদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। তার সন্তানদের তাদের মতই ভুক্তভোগী হতে হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রতি সোমবার স্কুল নয় তিনি সন্তানদের ফ্ল্যাটের ব্লকের উঠোনে নিয়ে যেতেন চীনের পতাকা উত্তোলন দেখানোর জন্য । এটি ছিল বাধ্যতামূলক যা তীব্র শীতই হোক বা কড়া রোদের মধ্যে হোক। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের উৎফুল্ল থাকাও বাধ্যতামূলক। জুমরাত বলেন, তিনি সন্তানদের নিয়ে গতবছর যুক্তরাষ্ট্র পালিয়ে আসার আগে চীনের নতুন এক বন্দিশালায় দুই মাসের মত ছিলেন। যেখানে আরো ১০ লাখের মত মানুষ রয়েছে যাদের অধিকাংশই উইঘুর।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে গত তিন বছর ধরে অন্তত ১০ লাখ উইঘুর যে দুর্দশায় রয়েছে তা ব্যক্তিপর্যায়ে প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব। এছাড়া ঐ অঞ্চলটি পরিদর্শনে যাওয়া বিদেশি সাংবাদিকদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। এর আগে গত মাসে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের (এএসপিআই) রিপোর্টে দাবি করা হয়, শিনজিয়াং প্রদেশের হাজার হাজার মসজিদ পুরোপুরি গুঁড়িয়ে বা আংশিক ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিয়েছে চীন। সেইসঙ্গে প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিমকে জোরপূর্বক তাদের ধর্মীয় আচার পালন ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ইকোনোমিস্ট, গার্ডিয়ান