ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ ৫২৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস রিপোর্ট

শিক্ষাকে এগিয়ে  নেওয়ার সময় এখনই। আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করবে বীর বাঙালিজাতি। এই সময়টাতে আমাদের যেখানে গিয়ে দাড়ানোর কথা ছিল, তা হয়তো পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমাদের ইচ্ছের ঘাটতি নেই। যেকোন বাধাকে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার মানুষিক দৃঢ়তা আমাদের রয়েছে।   ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে প্রিমিয়ার ব্যাংক ইউকে কানাডা এডু এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে একথা বলেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সানজেন এডু লিমিটেডের দু’দিনের এ মেলায় যুক্তরাজ্য ও কানাডার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর সাহসী, বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রনেতা  গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করে থাকেন। এতটা বিচক্ষণতাসম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে কমই রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। চার চারবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

২০০৮ সালে জাতির সংকটকালে শেখ হাসিনা তাঁর  নির্বাচনী ইশতেহারে দিনবদলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে  শেখ হাসিনা যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন, তখন বিদ্যুতের উৎপাদন ছিলো মাত্র ৩২০০ মেগাওয়াট। দেশের কলকারখানা বিদ্যুহীন থাকতো ৫/৬ ঘন্টা। শেখ হাসিনা তার দূরদর্শিতাকে কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে কয়েক দফায় ১০৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করেন। দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচলের উদ্যোগ নেন। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে পরিস্থিথি সামাল দিতে ভাড়ার বিদ্যুৎ নিয়ে আসলেন। গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর কাজে হাত লাগালেন। ধীরে ধীরে শিল্পকারখানার হুইসেল দীর্ঘ হতে লাগলো। বাড়তে লাগলো উৎপাদন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে দেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ৫৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭৫ সালে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং কারাগারে জাতীয় চারনেতাকে হত্যার বিচার আইন করে  রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো! যা গোটা দুনিয়ায় নজিরবিহীন ঘটনার। যে কারণে অপরাধ করেও অপরাধিরা পার পেয়ে যেতো। আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১১ বছরে অপরাধিদের বিচারের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এই যুগান্তরকারী উন্নয়ন এবং দিনবদলের ইতিহাস  লেখা হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরে। শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগের ফসল পদ্মাসেতু। বাংলাদেশের মানুষের গর্বের ধন। প্রমত্তা পদ্মায় উড়ছে উন্নয়নের শঙ্কচিল। উন্নত বিশ্বের মানুষ আজ বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশুনার পাশাপাশি দেশের দূত হিসাবে কাজ করছেন।  তেমনি ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে লেখাপড়া করছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে জানাতে পারছে। মন্ত্রী বলেন, দেশের ১৬ কোটির ওপর জনসংখ্যাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে। তা না হলে আমরা পিছিয়ে যাব। উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফএসিডি-সিএবি’র প্রেসিডেন্ট কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি এবং সানজেন এডু লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল হক ।

সানজেন এডু লিমিটেড এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে পড়াশুনার বিষয়ে শিক্ষা সেবা দানকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে ভিসা ব্যবস্থায় নতুন নিয়মের অর্ন্তভূক্তির ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বেড়েছে বহুগুণে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পড়তে আগ্রহি শিক্ষার্থীদের ভিসা উন্মুক্ত করেছে। সে সুযোগটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে সানজেন এডু লিমিটেড  আরো বেশি কাজ করারর সুযোগ পাবে। মেলার উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেশের উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

ভয়েস রিপোর্ট

শিক্ষাকে এগিয়ে  নেওয়ার সময় এখনই। আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করবে বীর বাঙালিজাতি। এই সময়টাতে আমাদের যেখানে গিয়ে দাড়ানোর কথা ছিল, তা হয়তো পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমাদের ইচ্ছের ঘাটতি নেই। যেকোন বাধাকে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার মানুষিক দৃঢ়তা আমাদের রয়েছে।   ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে প্রিমিয়ার ব্যাংক ইউকে কানাডা এডু এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে একথা বলেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সানজেন এডু লিমিটেডের দু’দিনের এ মেলায় যুক্তরাজ্য ও কানাডার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর সাহসী, বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রনেতা  গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করে থাকেন। এতটা বিচক্ষণতাসম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে কমই রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। চার চারবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

২০০৮ সালে জাতির সংকটকালে শেখ হাসিনা তাঁর  নির্বাচনী ইশতেহারে দিনবদলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে  শেখ হাসিনা যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন, তখন বিদ্যুতের উৎপাদন ছিলো মাত্র ৩২০০ মেগাওয়াট। দেশের কলকারখানা বিদ্যুহীন থাকতো ৫/৬ ঘন্টা। শেখ হাসিনা তার দূরদর্শিতাকে কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে কয়েক দফায় ১০৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করেন। দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচলের উদ্যোগ নেন। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে পরিস্থিথি সামাল দিতে ভাড়ার বিদ্যুৎ নিয়ে আসলেন। গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর কাজে হাত লাগালেন। ধীরে ধীরে শিল্পকারখানার হুইসেল দীর্ঘ হতে লাগলো। বাড়তে লাগলো উৎপাদন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে দেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ৫৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭৫ সালে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং কারাগারে জাতীয় চারনেতাকে হত্যার বিচার আইন করে  রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো! যা গোটা দুনিয়ায় নজিরবিহীন ঘটনার। যে কারণে অপরাধ করেও অপরাধিরা পার পেয়ে যেতো। আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১১ বছরে অপরাধিদের বিচারের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এই যুগান্তরকারী উন্নয়ন এবং দিনবদলের ইতিহাস  লেখা হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরে। শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগের ফসল পদ্মাসেতু। বাংলাদেশের মানুষের গর্বের ধন। প্রমত্তা পদ্মায় উড়ছে উন্নয়নের শঙ্কচিল। উন্নত বিশ্বের মানুষ আজ বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশুনার পাশাপাশি দেশের দূত হিসাবে কাজ করছেন।  তেমনি ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে লেখাপড়া করছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে জানাতে পারছে। মন্ত্রী বলেন, দেশের ১৬ কোটির ওপর জনসংখ্যাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে। তা না হলে আমরা পিছিয়ে যাব। উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফএসিডি-সিএবি’র প্রেসিডেন্ট কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি এবং সানজেন এডু লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল হক ।

সানজেন এডু লিমিটেড এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে পড়াশুনার বিষয়ে শিক্ষা সেবা দানকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে ভিসা ব্যবস্থায় নতুন নিয়মের অর্ন্তভূক্তির ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বেড়েছে বহুগুণে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পড়তে আগ্রহি শিক্ষার্থীদের ভিসা উন্মুক্ত করেছে। সে সুযোগটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে সানজেন এডু লিমিটেড  আরো বেশি কাজ করারর সুযোগ পাবে। মেলার উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।