ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

শেরপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ ৯১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড় হুমকিতে জীববৈচিত্র্য। শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধিগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বন পুড়ছে দুর্বৃত্তের আগুনে। বনের ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ।

জানা গেছে, বাতাসের তোড়ে আগুনের লেলিহান শিখা প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করার কথা। বনের যে সমস্ত অংশীধার রয়েছেন তারাই গাছ কাটার সুবিধার্থে এই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি বনের ভিতরে যাদের বাড়ীঘর রয়েছে, তারাও বন উজার করতে এই কাজটি করতে পারে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসবি তানভীর আহমেদ ইমন এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল করিম বলেন, এখন শুকনো মৌসুমে শাল গজারী পাতা ঝরে স্তুপ হয়ে থাকে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে। আমরা বিট অফিসারের কাছে শুনেছি ১০ থেকে ১৫ টি স্থানে আগুন নিভানো হয়েছে।

আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবো, যাতে তারা বিড়ি সিগারেটের আগুন বনে না ফেলে। আমাদের ফরেস্ট গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আগুন নেভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। যেটুকু আছে তাই দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

পরিবেশবাদী সংগঠনের লোকজন বলছে, শুস্ক মৌসুমে বনের ঝরা পাতায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বা বন্ধ করা না গেলে বনের মাঝে পাতার নীচে বসবাসকারী কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট কুপিস ও ঔষধি গাছ সমূহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য পড়বে চরম হুমকিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড় হুমকিতে জীববৈচিত্র্য। শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধিগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বন পুড়ছে দুর্বৃত্তের আগুনে। বনের ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ।

জানা গেছে, বাতাসের তোড়ে আগুনের লেলিহান শিখা প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করার কথা। বনের যে সমস্ত অংশীধার রয়েছেন তারাই গাছ কাটার সুবিধার্থে এই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি বনের ভিতরে যাদের বাড়ীঘর রয়েছে, তারাও বন উজার করতে এই কাজটি করতে পারে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসবি তানভীর আহমেদ ইমন এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল করিম বলেন, এখন শুকনো মৌসুমে শাল গজারী পাতা ঝরে স্তুপ হয়ে থাকে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে। আমরা বিট অফিসারের কাছে শুনেছি ১০ থেকে ১৫ টি স্থানে আগুন নিভানো হয়েছে।

আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবো, যাতে তারা বিড়ি সিগারেটের আগুন বনে না ফেলে। আমাদের ফরেস্ট গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আগুন নেভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। যেটুকু আছে তাই দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

পরিবেশবাদী সংগঠনের লোকজন বলছে, শুস্ক মৌসুমে বনের ঝরা পাতায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বা বন্ধ করা না গেলে বনের মাঝে পাতার নীচে বসবাসকারী কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট কুপিস ও ঔষধি গাছ সমূহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য পড়বে চরম হুমকিতে।