ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতি-চুরি নিজ স্বার্থ ছাড়া আমলাদের কোন চিন্তা নেই: মির্জা ফখরুল

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকার অনেক ভুলত্রুটি করছে। ভুলতো করবেই তারা তো আর সরকারে ছিল না, রাজনীতি করেনি, রাজনীতি বিষয়টা তারা জানে না, করেনি। তাদেরকে তো সে সময়টা দিতে হবে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৫ আগস্ট পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেওয়া ছাড়াও অফিস আদালতে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেলো, ভয়াবহ দুর্নীতি, চুরি, ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া সরকারি আমলাদের আর কোনও চিন্তা নেই। এটা বলতে আমি বাধ্য হলাম।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গ্রন্থ আড্ডায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

সাম্প্রতিক সময়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে আন্দোলন ও বিভিন্ন দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কখনও ধৈর্য হারাবেন না, আশা হারাবেন না। আমাদের প্রত্যাশা অনেক কিন্তু আমাদের ধৈর্য একেবারেই কম। সবে তো মাত্র কয়েকটা মাস হলো। এরমধ্যেই আমরা পাগল হয়ে গেছি সব।

সরকার অনেক ভুলত্রুটি করছে। ভুলতো করবেই তারা তো আর সরকারে ছিল না, রাজনীতি করেনি, রাজনীতি বিষয়টা তারা জানে না, করেনি। তাদেরকে তো সে সময়টা দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ আমলেতো কেউ একটা কথা বলারও সুযোগ পায়নি, সাহসও কেউ পায়নি। আর এখন যেহেতু একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, সবাই ঝাপিয়ে পড়ছে।

পরিবর্তন তো আপনার একদিনে হবে না, এত দ্রুত হবে না। ধৈর্য ধরুন, একটা গণতান্ত্রিক স্ট্রাকচার হোক, সেই স্ট্রাকচার হলে নিশ্চয় আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।

ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মধ্যে ধৈর্য ব্যাপারটা ছিল। দূরদৃষ্টি-সম্পন্ন চিন্তাভাবনাগুলোকে তিনি কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, প্রথমেই তিনি যুদ্ধ শুরু করে দেননি। প্রথমে শুনেছেন, সব বিজ্ঞ বিজ্ঞ মানুষদের নিয়ে বসেছেন।

বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় এই নেতা বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে সবসময়, হটকারিতা করা যাবে না। অতি বিপ্লবী কোনও চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সমাজে আরও অস্থিরতা, চরম একটা অবস্থা সৃষ্টি করা হয়তো কোরনাভাবেই কাম্য হবে না। নৈরাজ্য সৃষ্টি করাটা বোধহয় ঠিক হবে না, এই কথাটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা আমাদের পড়ালেখা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদম শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা একদম শেষ। সেটার মধ্যে কোনও কিছু অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সব জায়গায় দেখবেন মান এত নিচে চলে গেছে, এটা বলে বুঝানো যাবে না। একেবারে কুড়িগ্রামের চরের মধ্যে যে প্রাইমারি স্কুল বা হাইস্কুলে কী শিক্ষা পাচ্ছে, সেটার খবর আমরা অনেকেই রাখি না।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুর্নীতি-চুরি নিজ স্বার্থ ছাড়া আমলাদের কোন চিন্তা নেই: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

 

সরকার অনেক ভুলত্রুটি করছে। ভুলতো করবেই তারা তো আর সরকারে ছিল না, রাজনীতি করেনি, রাজনীতি বিষয়টা তারা জানে না, করেনি। তাদেরকে তো সে সময়টা দিতে হবে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৫ আগস্ট পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেওয়া ছাড়াও অফিস আদালতে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেলো, ভয়াবহ দুর্নীতি, চুরি, ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া সরকারি আমলাদের আর কোনও চিন্তা নেই। এটা বলতে আমি বাধ্য হলাম।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গ্রন্থ আড্ডায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

সাম্প্রতিক সময়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে আন্দোলন ও বিভিন্ন দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কখনও ধৈর্য হারাবেন না, আশা হারাবেন না। আমাদের প্রত্যাশা অনেক কিন্তু আমাদের ধৈর্য একেবারেই কম। সবে তো মাত্র কয়েকটা মাস হলো। এরমধ্যেই আমরা পাগল হয়ে গেছি সব।

সরকার অনেক ভুলত্রুটি করছে। ভুলতো করবেই তারা তো আর সরকারে ছিল না, রাজনীতি করেনি, রাজনীতি বিষয়টা তারা জানে না, করেনি। তাদেরকে তো সে সময়টা দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ আমলেতো কেউ একটা কথা বলারও সুযোগ পায়নি, সাহসও কেউ পায়নি। আর এখন যেহেতু একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, সবাই ঝাপিয়ে পড়ছে।

পরিবর্তন তো আপনার একদিনে হবে না, এত দ্রুত হবে না। ধৈর্য ধরুন, একটা গণতান্ত্রিক স্ট্রাকচার হোক, সেই স্ট্রাকচার হলে নিশ্চয় আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।

ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মধ্যে ধৈর্য ব্যাপারটা ছিল। দূরদৃষ্টি-সম্পন্ন চিন্তাভাবনাগুলোকে তিনি কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, প্রথমেই তিনি যুদ্ধ শুরু করে দেননি। প্রথমে শুনেছেন, সব বিজ্ঞ বিজ্ঞ মানুষদের নিয়ে বসেছেন।

বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় এই নেতা বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে সবসময়, হটকারিতা করা যাবে না। অতি বিপ্লবী কোনও চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সমাজে আরও অস্থিরতা, চরম একটা অবস্থা সৃষ্টি করা হয়তো কোরনাভাবেই কাম্য হবে না। নৈরাজ্য সৃষ্টি করাটা বোধহয় ঠিক হবে না, এই কথাটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা আমাদের পড়ালেখা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদম শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা একদম শেষ। সেটার মধ্যে কোনও কিছু অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সব জায়গায় দেখবেন মান এত নিচে চলে গেছে, এটা বলে বুঝানো যাবে না। একেবারে কুড়িগ্রামের চরের মধ্যে যে প্রাইমারি স্কুল বা হাইস্কুলে কী শিক্ষা পাচ্ছে, সেটার খবর আমরা অনেকেই রাখি না।