ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু!

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তামাকের ব্যবহার ভয়াবহরূপ নিয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও তামাকজাত পণ্য তথা সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ১৩-১৫ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত! এটি অবশ্যই একটা বড় অংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে

তামাকের ব্যবহার ভয়াবহরূপ নিয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও তামাকজাত পণ্য তথা সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ১৩-১৫ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত! এটি অবশ্যই একটা বড় অংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে। আর পরোক্ষ ধূমপানের শিকার প্রায় ৪ লাখ মানুষ। তামাকে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন, বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন।

ঢাকাসহ দেশজুড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও কেউ তার তোয়াক্কা করছে না। দেশজুড়ে ফ্রি স্টাইল তামাকজাত পণ্যের ছড়াছড়ি। নিম্নমানের সিগারেটে ছয়লাব বাজার। তামাকজাত পণ্যের লাগাম টানতে আইন থাকা সত্ত্বেও তার কোন বাস্তবায়ন নেই। তামাক যে কেবল স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে তা নয়, এর জন্য প্রচুর গাছ কাটতে হয়। একটি সিগারেটের জন্য ১৪ গ্রাম কার্বনডাই অক্সাইড নির্গত হয়। তামাক চাষের পানি জোগান দিতে গিয়ে মাছের খনি হালকা নদীর মাছের প্রজনন হুমির মুখে। তামাক চাষ বা কারখানায় কাজ করছে এমন ব্যক্তির চামড়ার মধ্য দিয়ে প্রায় ৫০টি সিগারের সমান নিকোটিন দেহে প্রবেশ করে থাকে। তামাক চাষে ব্যবহৃত রায়সানিক মাটিতে প্রবেশ করে শাকসব্জি থেকে শুরু করে শষ্য বিসাক্ত করে তুলছে। তামাকজাত কারখানায় ৭ ভাগ শিশু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ত ভাবে জড়িত। যা শিশুশ্রমিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লংঘন।

এসময় ২০১৯ সালে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রকাশিত গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা একইসময়ে এই খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮১০ কোটি) চেয়ে অনেক বেশি। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে তামাক। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও কঠোর বাস্তবায়ন জরুরী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শেয়ারহোল্ডিং সংস্কার জরুরি। পাশাপাশি, সরকারি কর্মকর্তাদের তামাক শিল্পের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নীতি জোরদার করতে হবে। এবং তামাক কর বৃদ্ধি, প্লেইন প্যাকেজিং বাস্তবায়ন ও তরুণদের সচেতনতা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করুন।

তামাকের ব্যবহার ভয়াবহরূপ নিয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও তামাকজাত পণ্য তথা সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ১৩-১৫ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত! এটি অবশ্যই একটা বড় অংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান মিলন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাবের জেষ্ঠ্য সাংবাদিক মাইনুল হাসান সোহেল।

মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে হুমকি সৃষ্টি করছে। তাই বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) যুগোপযোগী করতে হবে। মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, তামাকপণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও কার্যকর ভাবে বাস্তবায়নের অভাবে তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ও চটকদার বিজ্ঞাপনের ফলে, তামাকের প্রতি আসক্ত হচ্ছে দেশের তরুণরা। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উচিত তামাক কোম্পানির ছোবল থেকে তরুণদের সুরক্ষা প্রদান করা ।

তামাকের ব্যবহার ভয়াবহরূপ নিয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও তামাকজাত পণ্য তথা সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ১৩-১৫ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত! এটি অবশ্যই একটা বড় অংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে

সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের মাধ্যমে ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট বা হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট থেকে তরুণদের রক্ষা করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানো হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু!

আপডেট সময় : ০৯:৩২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তামাকের ব্যবহার ভয়াবহরূপ নিয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও তামাকজাত পণ্য তথা সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ১৩-১৫ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত! এটি অবশ্যই একটা বড় অংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে

তামাকের ব্যবহার ভয়াবহরূপ নিয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও তামাকজাত পণ্য তথা সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ১৩-১৫ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত! এটি অবশ্যই একটা বড় অংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে। আর পরোক্ষ ধূমপানের শিকার প্রায় ৪ লাখ মানুষ। তামাকে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন, বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন।

ঢাকাসহ দেশজুড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও কেউ তার তোয়াক্কা করছে না। দেশজুড়ে ফ্রি স্টাইল তামাকজাত পণ্যের ছড়াছড়ি। নিম্নমানের সিগারেটে ছয়লাব বাজার। তামাকজাত পণ্যের লাগাম টানতে আইন থাকা সত্ত্বেও তার কোন বাস্তবায়ন নেই। তামাক যে কেবল স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে তা নয়, এর জন্য প্রচুর গাছ কাটতে হয়। একটি সিগারেটের জন্য ১৪ গ্রাম কার্বনডাই অক্সাইড নির্গত হয়। তামাক চাষের পানি জোগান দিতে গিয়ে মাছের খনি হালকা নদীর মাছের প্রজনন হুমির মুখে। তামাক চাষ বা কারখানায় কাজ করছে এমন ব্যক্তির চামড়ার মধ্য দিয়ে প্রায় ৫০টি সিগারের সমান নিকোটিন দেহে প্রবেশ করে থাকে। তামাক চাষে ব্যবহৃত রায়সানিক মাটিতে প্রবেশ করে শাকসব্জি থেকে শুরু করে শষ্য বিসাক্ত করে তুলছে। তামাকজাত কারখানায় ৭ ভাগ শিশু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ত ভাবে জড়িত। যা শিশুশ্রমিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লংঘন।

এসময় ২০১৯ সালে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রকাশিত গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা একইসময়ে এই খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮১০ কোটি) চেয়ে অনেক বেশি। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে তামাক। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও কঠোর বাস্তবায়ন জরুরী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শেয়ারহোল্ডিং সংস্কার জরুরি। পাশাপাশি, সরকারি কর্মকর্তাদের তামাক শিল্পের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নীতি জোরদার করতে হবে। এবং তামাক কর বৃদ্ধি, প্লেইন প্যাকেজিং বাস্তবায়ন ও তরুণদের সচেতনতা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করুন।

তামাকের ব্যবহার ভয়াবহরূপ নিয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও তামাকজাত পণ্য তথা সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ১৩-১৫ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত! এটি অবশ্যই একটা বড় অংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান মিলন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাবের জেষ্ঠ্য সাংবাদিক মাইনুল হাসান সোহেল।

মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে হুমকি সৃষ্টি করছে। তাই বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) যুগোপযোগী করতে হবে। মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, তামাকপণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও কার্যকর ভাবে বাস্তবায়নের অভাবে তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ও চটকদার বিজ্ঞাপনের ফলে, তামাকের প্রতি আসক্ত হচ্ছে দেশের তরুণরা। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উচিত তামাক কোম্পানির ছোবল থেকে তরুণদের সুরক্ষা প্রদান করা ।

তামাকের ব্যবহার ভয়াবহরূপ নিয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও তামাকজাত পণ্য তথা সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ১৩-১৫ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত! এটি অবশ্যই একটা বড় অংশ। বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যু এবং ৪২.৭ শতাংশ মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে

সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের মাধ্যমে ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট বা হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট থেকে তরুণদের রক্ষা করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানো হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।