ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানের জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ফেনীতে দুর্ভোগে লাখো মানুষ আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা বিমান বন্দরে পাঞ্জাবির পকেটে মিললো কোটির টাকার সোনা প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস তুরস্কের হু হু করে বাড়ছে বানের জল, টানা বর্ষণে নির্ঘুম রাত কাটছে ফেণীবাসীর  ৯ জুলাই মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী তরুণদের ভাবনায় ২৬’র নির্বাচনে বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২১, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে সরকারী সহায়তার চাল পেলো ভোলার ‘বেদে মৎস্যজীবীরা’ কুয়েতে যেতে কোন শ্রমিককে গুণতে হবে আট লাখ টাকা! যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু

Oxygen plant: ঢাকা মেডিকেলে ভারতের উপহারের অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন

ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ২৪৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্ধৃতি দিয়ে, ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, এই বছরটি যুগান্তকারী তাৎপর্যের ঘটনাগুলির একটি ‘ত্রিবেণী’ চিহ্নিত করে-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী। আমি নিশ্চিত যে, এই গুরুত্বপূর্ণ বছরে, মানসম্পন্ন জরুরী যত্ন এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট প্রদানের জন্য আধুনিক, গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামসহ ১০৯টি নতুন অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাণ রক্ষায় অক্সিজেন সংকট যখন চরমে পৌছোয়, সেই মুহুর্তে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ পরিষেবা চালু করে বাংলাদেশে। জুলাই মাসে একের পর এক অক্সিজেন এক্সপ্রেস জরুরী পরিষেবা দিয়ে সামাল দেওয়া হয় অক্সিজেন সংকট। করোনাকালীন সময়ে ভারত উপহার হিসাবে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সও উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে।

শুধু সড়ক ও রেল পথ নয়। সেপ্টেম্বরে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করে ভারতীয় নৌবাহিনীর দু’টো জাহাজ যোগে অক্সিজেন প্ল্যান্ট পৌছায় চট্টগ্রাম বন্দরে। দু’টো অস্ত অক্সিজেন প্ল্যান্টের একটি ছিলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য। যেটির উদ্বোধন হলো রবিবার।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে স্থাপন করা ভারতের উপহারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট, বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসা কর্নার, বেস্ট ফিডিং কর্নারসহ আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। হাইকমিশনার বলেন, মৈত্র দেশ

হিসেবে ভারত সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে। ভারতও বাংলাদেশ পরিবারের মতো। তিনি বলেন, ঢাকায় একটি বড় ধরনের ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া সাড়া দেশেও মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান এ ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান করার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মুজিববর্ষও পালন করছি। ১৯৭১ এর ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ ছাড়া ভারত স্বাধীনতার সময়ও সবভাবেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।

সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধু প্রতিম দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত কোভিডের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট আসছে। তবে আমরা এর তৃতীয় ওয়েব চাচ্ছি না। দ্বিতীয় ওয়েবেই সমাপ্ত করতে চাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, বাংলাদেশের সব ক্রান্তিকালে ভারত পাশে এসে দাড়ায়। এর ধারাবাহিকতায় তারা আমাদের দেশকে দু’টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট উপহার দিয়েছে। এর একটি ঢাকা মেডিকেলে স্থাপন করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে অক্সিজেন সাপ্লাইও শুরু হয়েছে। প্ল্যান্ট থেকে প্রতি মিনিটে ৯৬০ লিটার অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে সক্ষম। এতে আমাদের কোভিডের রোগীদের চিকিৎসায় আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট কোভিডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইকে সমর্থন করার জন্য ভারত সরকারের উপহার। এটি অক্সিজেন প্লান্ট মহামারীর পরেও কাজে আসবে। তিনি বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী এবং ঐতিহাসিক বন্ধু হিসাবে, জনস্বাস্থ্য এবং জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে আরও উন্নত করার জন্য ভারত তার সামর্থ্যের সীমার মধ্যে যা করতে পারে তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মহামারীর শুরু থেকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য এগিয়ে এসেছে। প্রতিবেশি এবং পৃথিবী একটি পরিবার, এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী ভারত। প্রতিবেশি হিসাবে সবার আগে বাংলাদেশ এমনটিই দেখা এবং আমরা দু’জনেই জানি যে ‘সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়’।

বাংলাদেশের সাথে তার অনন্য বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের অটল এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি গত দুই বছরে আমাদের কোভিড-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সহযোগিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত পিপিই কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট, ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার কর্মশালার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। এবং বাংলাদেশ এই গ্রীষ্মে আমাদের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় ওষুধ এবং অন্যান্য দরকারী জিনিসপত্র পাঠানোর জন্য উদারতা এবং মহান সদিচ্ছার সাথে সমানভাবে সাড়া দিয়েছে।

হাইকমিশনার আরও বলেন, এটা অবশ্যই হাইলাইট করা গুরুত্বপূর্ণ যে ৯৬টিরও বেশি দেশে ভারত ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে ২১.৮ মিলিয়ন ভ্যাকসিনের [১৫ মিলিয়ন – বাণিজ্যিক সরবরাহ, ৩.৩ মিলিয়ন-অনুদান এবং ৩.৫ মিলিয়ন কোভ্যাক্স] সরবরাহ করা হয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের খুব কম দেশেই আমাদের মতো ঘনিষ্ঠ ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের অংশীদারিত্ব এই অঞ্চলে ভাল প্রতিবেশী সম্পর্কের জন্য একটি রোল মডেল হিসাবে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বলেছেন, ‘সংযোগই উৎপাদনশীলতা’। সংযোগ প্রসারিত করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ভারত ২০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেনে ৪ হাজার মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহ করেছে।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, আগস্ট মহামারীর তুঙ্গে, তখন মাত্র ১২ ঘন্টারও কম সময় নিয়ে রেকর্ড ট্রানজিট সময়ের মধ্যে এক একটি অক্সিজেন এক্সপ্রেসে তরল মেডিক্যাল (খগঙ) সরবরাহ করা হয়। এই বছরটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্ধৃতি দিয়ে, ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, এই বছরটি যুগান্তকারী তাৎপর্যের ঘটনাগুলির একটি ‘ত্রিবেণী’ চিহ্নিত করে-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী। আমি নিশ্চিত যে, এই গুরুত্বপূর্ণ বছরে, মানসম্পন্ন জরুরী যত্ন এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট প্রদানের জন্য আধুনিক, গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামসহ ১০৯টি নতুন অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

আমি নিশ্চিত যে ঢাকার ২৩০০-শয্যা বিশিষ্ট প্রিমিয়ার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই নতুন মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের ফলে, ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশের ভাই ও বোনদের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Oxygen plant: ঢাকা মেডিকেলে ভারতের উপহারের অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন

আপডেট সময় : ১০:২৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্ধৃতি দিয়ে, ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, এই বছরটি যুগান্তকারী তাৎপর্যের ঘটনাগুলির একটি ‘ত্রিবেণী’ চিহ্নিত করে-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী। আমি নিশ্চিত যে, এই গুরুত্বপূর্ণ বছরে, মানসম্পন্ন জরুরী যত্ন এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট প্রদানের জন্য আধুনিক, গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামসহ ১০৯টি নতুন অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাণ রক্ষায় অক্সিজেন সংকট যখন চরমে পৌছোয়, সেই মুহুর্তে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ পরিষেবা চালু করে বাংলাদেশে। জুলাই মাসে একের পর এক অক্সিজেন এক্সপ্রেস জরুরী পরিষেবা দিয়ে সামাল দেওয়া হয় অক্সিজেন সংকট। করোনাকালীন সময়ে ভারত উপহার হিসাবে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সও উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে।

শুধু সড়ক ও রেল পথ নয়। সেপ্টেম্বরে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করে ভারতীয় নৌবাহিনীর দু’টো জাহাজ যোগে অক্সিজেন প্ল্যান্ট পৌছায় চট্টগ্রাম বন্দরে। দু’টো অস্ত অক্সিজেন প্ল্যান্টের একটি ছিলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য। যেটির উদ্বোধন হলো রবিবার।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে স্থাপন করা ভারতের উপহারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট, বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসা কর্নার, বেস্ট ফিডিং কর্নারসহ আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। হাইকমিশনার বলেন, মৈত্র দেশ

হিসেবে ভারত সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে। ভারতও বাংলাদেশ পরিবারের মতো। তিনি বলেন, ঢাকায় একটি বড় ধরনের ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া সাড়া দেশেও মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান এ ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান করার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মুজিববর্ষও পালন করছি। ১৯৭১ এর ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ ছাড়া ভারত স্বাধীনতার সময়ও সবভাবেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।

সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধু প্রতিম দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত কোভিডের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট আসছে। তবে আমরা এর তৃতীয় ওয়েব চাচ্ছি না। দ্বিতীয় ওয়েবেই সমাপ্ত করতে চাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, বাংলাদেশের সব ক্রান্তিকালে ভারত পাশে এসে দাড়ায়। এর ধারাবাহিকতায় তারা আমাদের দেশকে দু’টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট উপহার দিয়েছে। এর একটি ঢাকা মেডিকেলে স্থাপন করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে অক্সিজেন সাপ্লাইও শুরু হয়েছে। প্ল্যান্ট থেকে প্রতি মিনিটে ৯৬০ লিটার অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে সক্ষম। এতে আমাদের কোভিডের রোগীদের চিকিৎসায় আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট কোভিডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইকে সমর্থন করার জন্য ভারত সরকারের উপহার। এটি অক্সিজেন প্লান্ট মহামারীর পরেও কাজে আসবে। তিনি বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী এবং ঐতিহাসিক বন্ধু হিসাবে, জনস্বাস্থ্য এবং জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে আরও উন্নত করার জন্য ভারত তার সামর্থ্যের সীমার মধ্যে যা করতে পারে তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মহামারীর শুরু থেকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য এগিয়ে এসেছে। প্রতিবেশি এবং পৃথিবী একটি পরিবার, এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী ভারত। প্রতিবেশি হিসাবে সবার আগে বাংলাদেশ এমনটিই দেখা এবং আমরা দু’জনেই জানি যে ‘সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়’।

বাংলাদেশের সাথে তার অনন্য বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের অটল এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি গত দুই বছরে আমাদের কোভিড-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সহযোগিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত পিপিই কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট, ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার কর্মশালার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। এবং বাংলাদেশ এই গ্রীষ্মে আমাদের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় ওষুধ এবং অন্যান্য দরকারী জিনিসপত্র পাঠানোর জন্য উদারতা এবং মহান সদিচ্ছার সাথে সমানভাবে সাড়া দিয়েছে।

হাইকমিশনার আরও বলেন, এটা অবশ্যই হাইলাইট করা গুরুত্বপূর্ণ যে ৯৬টিরও বেশি দেশে ভারত ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে ২১.৮ মিলিয়ন ভ্যাকসিনের [১৫ মিলিয়ন – বাণিজ্যিক সরবরাহ, ৩.৩ মিলিয়ন-অনুদান এবং ৩.৫ মিলিয়ন কোভ্যাক্স] সরবরাহ করা হয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের খুব কম দেশেই আমাদের মতো ঘনিষ্ঠ ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের অংশীদারিত্ব এই অঞ্চলে ভাল প্রতিবেশী সম্পর্কের জন্য একটি রোল মডেল হিসাবে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বলেছেন, ‘সংযোগই উৎপাদনশীলতা’। সংযোগ প্রসারিত করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ভারত ২০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেনে ৪ হাজার মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহ করেছে।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, আগস্ট মহামারীর তুঙ্গে, তখন মাত্র ১২ ঘন্টারও কম সময় নিয়ে রেকর্ড ট্রানজিট সময়ের মধ্যে এক একটি অক্সিজেন এক্সপ্রেসে তরল মেডিক্যাল (খগঙ) সরবরাহ করা হয়। এই বছরটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্ধৃতি দিয়ে, ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, এই বছরটি যুগান্তকারী তাৎপর্যের ঘটনাগুলির একটি ‘ত্রিবেণী’ চিহ্নিত করে-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী। আমি নিশ্চিত যে, এই গুরুত্বপূর্ণ বছরে, মানসম্পন্ন জরুরী যত্ন এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট প্রদানের জন্য আধুনিক, গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামসহ ১০৯টি নতুন অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

আমি নিশ্চিত যে ঢাকার ২৩০০-শয্যা বিশিষ্ট প্রিমিয়ার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই নতুন মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের ফলে, ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশের ভাই ও বোনদের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।