ঢাকা-বেইজিং যৌথ টিকা উৎপাদনের চুক্তি সই সোমবার
- আপডেট সময় : ১০:১৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত
টিকা উৎপাদনের খাতায় নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরই অন্যতম স্মারকে পরিণত হবে টিকা উৎপাদনের এই চুক্তি। ঢাকা-বেইজিং টিকা উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে আগেই দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। ঢাকায় যে প্রতিষ্ঠান টিকা উৎপাদন করবে তাও নির্ধারিত
করেছে সরকার। সোমবারের চুক্তির পরই জোরকদমে উৎপাদন শুরুর বিষয়টি এগিয়ে নিতে প্রস্তুত সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান।
যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের জন্য চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সোমবার ঢাকায় সই হতে যাচ্ছে। ইনসেপ্টা চীন থেকে টিকা তৈরির কাঁচামাল এনে তা বাংলাদেশে বোতলজাত ও বাজারজাত করবে। এতে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত করোনা প্রতিরোধক টিকাটি অপেক্ষাকৃত কম দামে বাংলাদেশে সহজলভ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার বেলা ৩টায় রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) মিলনায়তয়নে চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালিক, বিদেশ মন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছিলেন, করোনার টিকা যৌথভাবে উৎপাদনে চীনের গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি
অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। চীন এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০টি দেশে টিকা সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া কোভেক্সকে (ডব্লিউএইচও পরিচালিত) প্রথম চালানে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশ করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে চীনের কাছ থেকেই টিকার প্রথম চালান পেয়েছে। চীন অনেক উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে যৌথভাবে টিকার গবেষণা ও উন্নয়ন
কাজ করেছে এবং যৌথ উৎপাদনে গিয়েছে। এ ছাড়া টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনেক বিদেশী কোম্পানিকে চীন সহায়তা দিয়েছে। চীনা টিকাগুলো নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার
দিক থেকে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ সব টিকা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সুনাম অর্জন করেছে।