ডিসেম্বর থেকে ২৬-এর জুনে বাংলাদেশে নির্বাচন

- আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ৭১ বার পড়া হয়েছে
ইউনূস সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণার দিনই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের সংলাপ শুরু করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সোমবার বিকালে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফা সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইউনূস। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে। ইউনূস বলেন, আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত হয়েছি।
আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে পারব। সরকার আশা করে যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব হবে। প্রধান উপদেষ্টা নিজে ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশটির জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বও বা ২৬-এর জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপের বিএনপির তরফে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ডিসেম্বরের পর নির্বাচন হওয়ার কোন যুক্তি নেই।
এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। আগেই জরুরি ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী, সে সংস্কারগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন করি। জুলাই লড়াইয়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই তরুণদেও রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদ কার্যকর হওয়ার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না।
তার ভাষায় জুলাই সনদ ঘোষণার আগে যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়, তাহলে সংস্কারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। নাহিদ বলেন, আমরা আহ্বান জানিয়েছি, ১৬ বছর আমরা অপেক্ষা করেছি, এরপর ১০ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে চাই এবং সরকারকে সময় দিতে চাই সব রাজনৈতিক দল মিলে। দুই মাসের মধ্যে আমাদের জুলাই সনদ, যেখানে জনগণ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ শাসনের রূপরেখা, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা দেখতে পারবে।
সেই জুলাই সনদ হওয়ার পরে সরকার যাতে নির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করে, সে আহ্বান আমরা জানিয়েছি। জুলাই সনদ হওয়ার পরে আমরা আমাদের দলীয় মন্তব্য জানাব। ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে ২৬-এর জুনের মধ্যেই যেকোন নির্বাচন হতে পারে। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান মতানৈক্য দূর করে একটি সর্বসম্মত কাঠামো তৈরি করার লক্ষ্যে এ আলোচনা হয়েছে।
এদিকে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে এবারই ভিন্ন বাস্তবতায় সংসদের বাইরে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৫তম জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালাউদ্দিন আহমদ।