ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রেন যাত্রায় শতভাগ মাস্ক ব্যবহার, ঈদে ঘরযাত্রায় সামিল লাখো মানুষ

উদয়ন চৌধুরী, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১ ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লোকাল ট্রেনের টিকিটের জন্য ঘরমুখো মানুষের লাইনে

‘ট্রেনে শতভাগ মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছেন কর্তৃপক্ষ। ট্রেনে যারা যাতায়ত করছেন এমন কাউকেই বিনা মাস্কে দেখা যায়নি’

বাস, লঞ্চ এবং অন্যান্য বাহনে স্বাস্থ্যসেবা মান্যতার ঘাটতি থাকলেও ট্রেন যাত্রীদের বেলায় শতভাগ মাস্ক ব্যবহার ছিলো অনুকরণীয়। রেলওয়ে কর্র্তৃপক্ষের আন্তরিক তদারকির ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।

অন্যান্য পরিবহনের মালিক-কর্তৃপক্ষ ছাড়াও শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অনেকের প্রশ্ন রেলওয়ে পারলে অন্য কেন পারবেনা?

দীর্ঘদিন পর পরিচিত ছন্দে ফিরলো বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কোলাহল মুখর ঢাকা। মূলত বুধবার মধ্যরাত থেকে বিভিন্ন স্টেশনে মুখো মানুষের চলাচল শুরু হয়। বিভিন্ন জেলায়

ছেড়ে যায় দূরপাল্লার বাস। কতদিন পর আপন ছন্দে শুরু হয় পথ চলা। করোনার বিষাদময় পরিবেশেও ঈদকে সামনে রেখে মানুষের মধ্যে দেখা দিল উৎফুল্লতা। ঘলযাত্রায় সামিল হলেন লাখো মানুষ।

সকল গণপরিবহন চলাচল, নৌপথে সকাল থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে একের পর এক যায় নৌযান। ফেরিঘাটেগুলো জলাট ভিড় অনুপোস্থিত। এবারে সেখানে লঞ্চ-স্পিড বোর্ড সবই চালু থাকায় গাদাগাদি অবস্থা নেই ফেরিতে।

এ কারণে অনেকটা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মানুষ গন্তব্যে যেতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সফল রেল পরিষেবা।

ট্রেনে শতভাগ মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছেন কর্তৃপক্ষ। ট্রেনে যারা যাতায়ত করছেন এমন কাউকেই বিনা মাস্কে দেখা যায়নি। এবারে কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে অনলাইনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি লোকাল ট্রেনের জন্য একটি কাউন্টার খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সূজন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। যাত্রীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়তের জন্যই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিষয়টি নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিদর্শনে মন্ত্রী নির্মাণ কাজ তদারকি করেন।

অপর দিকে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে ঢাকার তিনটি আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল।

প্রায় একমাস পর বাসের চাকা গড়ালো মহাসড়কে। বাসের যাত্রী এবং চালকদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মান্যতায় ছিলো উদাসীনতা। আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল সায়দবাদ, মহাখালী এবং গাবতলী টার্মিনালে প্রতি গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার বাস যাতায়ত করে থাকে।

ঢাকা থেকে জলপথে দক্ষিাণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের অন্তত ৪০টি রুটে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭শ’ ছোটবড় লঞ্চ চলাচল করে। ঈদকে সামনে রেখে যাত্রী ভরে যাবার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ এবং গন্তব্যে যাত্রী নামিয়ে ফের দ্রুত ঢাকায় ফিরে আসার নির্দেশনা রয়েছে নৌযান মালিক সংগঠনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ট্রেন যাত্রায় শতভাগ মাস্ক ব্যবহার, ঈদে ঘরযাত্রায় সামিল লাখো মানুষ

আপডেট সময় : ০৩:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

লোকাল ট্রেনের টিকিটের জন্য ঘরমুখো মানুষের লাইনে

‘ট্রেনে শতভাগ মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছেন কর্তৃপক্ষ। ট্রেনে যারা যাতায়ত করছেন এমন কাউকেই বিনা মাস্কে দেখা যায়নি’

বাস, লঞ্চ এবং অন্যান্য বাহনে স্বাস্থ্যসেবা মান্যতার ঘাটতি থাকলেও ট্রেন যাত্রীদের বেলায় শতভাগ মাস্ক ব্যবহার ছিলো অনুকরণীয়। রেলওয়ে কর্র্তৃপক্ষের আন্তরিক তদারকির ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।

অন্যান্য পরিবহনের মালিক-কর্তৃপক্ষ ছাড়াও শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অনেকের প্রশ্ন রেলওয়ে পারলে অন্য কেন পারবেনা?

দীর্ঘদিন পর পরিচিত ছন্দে ফিরলো বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কোলাহল মুখর ঢাকা। মূলত বুধবার মধ্যরাত থেকে বিভিন্ন স্টেশনে মুখো মানুষের চলাচল শুরু হয়। বিভিন্ন জেলায়

ছেড়ে যায় দূরপাল্লার বাস। কতদিন পর আপন ছন্দে শুরু হয় পথ চলা। করোনার বিষাদময় পরিবেশেও ঈদকে সামনে রেখে মানুষের মধ্যে দেখা দিল উৎফুল্লতা। ঘলযাত্রায় সামিল হলেন লাখো মানুষ।

সকল গণপরিবহন চলাচল, নৌপথে সকাল থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে একের পর এক যায় নৌযান। ফেরিঘাটেগুলো জলাট ভিড় অনুপোস্থিত। এবারে সেখানে লঞ্চ-স্পিড বোর্ড সবই চালু থাকায় গাদাগাদি অবস্থা নেই ফেরিতে।

এ কারণে অনেকটা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মানুষ গন্তব্যে যেতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সফল রেল পরিষেবা।

ট্রেনে শতভাগ মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছেন কর্তৃপক্ষ। ট্রেনে যারা যাতায়ত করছেন এমন কাউকেই বিনা মাস্কে দেখা যায়নি। এবারে কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে অনলাইনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি লোকাল ট্রেনের জন্য একটি কাউন্টার খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সূজন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। যাত্রীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়তের জন্যই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিষয়টি নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিদর্শনে মন্ত্রী নির্মাণ কাজ তদারকি করেন।

অপর দিকে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে ঢাকার তিনটি আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল।

প্রায় একমাস পর বাসের চাকা গড়ালো মহাসড়কে। বাসের যাত্রী এবং চালকদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মান্যতায় ছিলো উদাসীনতা। আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল সায়দবাদ, মহাখালী এবং গাবতলী টার্মিনালে প্রতি গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার বাস যাতায়ত করে থাকে।

ঢাকা থেকে জলপথে দক্ষিাণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের অন্তত ৪০টি রুটে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭শ’ ছোটবড় লঞ্চ চলাচল করে। ঈদকে সামনে রেখে যাত্রী ভরে যাবার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ এবং গন্তব্যে যাত্রী নামিয়ে ফের দ্রুত ঢাকায় ফিরে আসার নির্দেশনা রয়েছে নৌযান মালিক সংগঠনের।