টেকসই উন্নয়নে কার্যকরী ‘স্মার্ট উপাদান’ ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ সিম্পোজিয়াম

- আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ ২২৯ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
টেকসই উন্নয়নে কার্যকরী ‘স্মার্ট উপাদান’ ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ সিম্পোজিয়াম মঙ্গলবার ঢাকার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) মিলনাতনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভারতের হাই কমিশনার হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যখন সমগ্র বিশ্ব উন্নত অর্থনীতির সারিতে যোগদান করতে আগ্রহী, সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততাকে উন্নীত করার মূল্য ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এস অ্যান্ড টি সহযোগিতা, উন্নয়ন অংশীদারত্বে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তর জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসমূহের সমাধান খুঁজে পেতে মূল অনুঘটক।
হাই কমিশনার তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের সহযোগিতা এমন সমাধান বয়ে আনতে পারে, যা আমাদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতাসমূহকে মোকাবিলা করে উন্নয়নমূলক আকাঙ্খা পূরণ করে। বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করবে। এস অ্যান্ড টি সহযোগিতার ক্ষেত্রে উভয় দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের বৃহত্তর অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট এবং গবেষণাগারগুলোর মধ্যে আন্তঃক্ষেত্র সহযোগিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, সিএসআইআর ভারত ও বিএসসিআইআর বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ভারত ও বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী এই যৌথ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী যৌথ সম্পর্কের একটি স্বল্প-পরিচিত ক্ষেত্র, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ যা প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বাণিজ্যিকীকরণের পাশাপাশি তথ্য আদান-প্রদান, যৌথ প্রকল্প, সংশ্লিষ্ট প্রধান বৈজ্ঞানিক সুবিধার ব্যবহার, সক্ষমতা বিকাশের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আয়োজনের অগ্রগতিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই সিম্পোজিয়ামটির দর্শন হিসাবে, জৈবিক বিজ্ঞান, খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ধাতুবিদ্যা, ন্যানো টেকনোলজি, চামড়াজাত পণ্যবিষয়ক প্রযুক্তি, মেট্রোলজি, পলিমার বিজ্ঞান ও ওষুধ আবিষ্কারসহ যৌথ আগ্রহের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে।