সেখানে গিয়ে শুনি, নিউ আলিপুরে আমার দিদিশাশুড়ি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পিঙ্কি ওর দাদাকে নিয়ে গিয়েছে। আমি সেখানেও পৌঁছোই। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে জানতে পারি, ছেলেকে আনতে ওরা আবার চেতলায় গিয়েছে। প্রবীণ অভিনেত্রীও জানান, সব শুনেছেন তিনি। মুখোমুখি কথা বললে সব সমস্যা মিটে যায়। সেটা করলেই তো হয়!
এর পরেই রাস্তায় পিঙ্কির সঙ্গে দেখা। তখনও আমি ভাল করে বলি, তোমার যা অভিযোগ মুখোমুখি বসে জানাও। উত্তরে পিঙ্কি চেঁচিয়ে ওঠে! শ্রীময়ী হাতজোড় করে বলে, পিঙ্কিদি কথা বল আমার সঙ্গে। যা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে চল মিটিয়ে নিই। সে কথা শুনে শ্রীময়ীর দিকে তেড়ে আসেন পিঙ্কির দাদা।
আমি তখন বাধা দিয়ে বলেছিলাম, অচেনা এক জন মহিলার দিকে এ ভাবে কেন তেড়ে যাচ্ছেন? পিঙ্কির চিৎকারে ততক্ষণে লোক জড়ো হয়ে গিয়েছে। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে আমার।
এ বার আসি শ্রীময়ী চট্টরাজের কথায়। শ্রীময়ীকে আমি অভিনয়সূত্রে চিনি। আমার সঙ্গে থিয়েটার কর্মশালায় যোগ দিয়ে অভিনয় শিখেছে, এই পর্যন্ত। বলার মতো কোনও সম্পর্কই ওঁর সঙ্গে আমার ছিল না। ফলে, বিয়ের পরেও ওঁর নাম আমার মুখে পিঙ্কি শোনেনি। তা বলে পিঙ্কি ওঁকে চেনে না তা কিন্তু নয়। আমার সঙ্গে শ্রীময়ী পিঙ্কির চেতলার বাড়িতে গিয়েছেন। কথা হয়েছে ওঁদের মধ্যে অনেক বার।
তার পরেও পিঙ্কি যে কথা বলছে, যে ধরনের আচরণ করছে শ্রীময়ীর সঙ্গে অবাক হচ্ছি আমিও। কল শো-এ মায়াপুরে আমরা গিয়েছিলাম। সেই নিয়েও এখন তোলপাড় হচ্ছে। সবার একটাই প্রশ্ন, ২৫ বছর এত অভিনেত্রীর সঙ্গে অভিনয়ের পর হঠাৎ আনকোরা এক জন অভিনেত্রীকে নিয়ে কেন কাঞ্চন মল্লিকের নামে মিথ্যে রটনা? সূত্র আনন্দবাজার