সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশের করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের ৮০ ভাগই টিকা গ্রহণ করেননি। গবেষণা বলছে, টিকা নেয়া রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কম।
আর আর যাদের বেলায় আইসিইউ’র প্রয়োজন হচ্ছে, এমন সব রোগীদের বেশির ভাগই টিকা নেননি। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে টিকা আওতা বাড়াতে
হবে। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি তারা যেন নিবন্ধনের সহায়তা করাতে হবে।
অবশ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অনেকেই রয়েছেন, যাদের নিবন্ধনের সুযোগ নেই। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসলেই চলবে।
ঢাকায় যেসব সরকারীর হাসপাতাল রয়েছে, তাতে আইসিইউ বেড নেই। আগে ভর্তি রয়েছেন, এমন রোগীরাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইসিইউ বেড পাচ্ছেন। আর মুমুর্ষু অবস্থায় যাদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই টিকা গ্রহণ করেননি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ( ডিএনসিসি) কোভিড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, করোনার টিকা নিয়েও যারা হাসপাতালে আসছেন, তারা দ্রুত সেরে উঠছেন। হাসপাতালের রোগীদের বেশিরভাগই করোনার টিকা নেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণার তথ্য অনুসারে, টিকা নেয়ার পরও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে যাওয়ার হার মাত্র ২ থেকে ৫ ভাগ। ৯৫ ভাগই থাকছেন সুরক্ষিত। বাংলাদেশ
মেডিসিন সোসাইটির গবেষণায় বলা হয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮০ ভাগ রোগীই টিকা ছাড়া। আর ২০ ভাগ টিকা নিয়েও আক্রান্ত হয়েছেন।
টিকার রেজিস্টেশেন পদ্ধতি সহজ করে আরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নেয়ার পরও মাস্ক পরাসহ মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।