ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিকাই জরুরি, টাকা বিবেচ্য নয়

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

করোনা থেকে মানুষকে রক্ষায় যেকোনো মূল্যে টিকা সংগ্রহ করাটাই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গর্ভণর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। টাকা নয়, টিকাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। টিকা পাওয়া এবং মানুষকে তা দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন, তাই করতে হবে।

৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপিত হয়। সেখানে স্বাস্থ্য খাতে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। থোক বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট বক্তৃতায় দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে পর্যায়ক্রমে করোনার টিকার আওতার আনার পরিকল্পনা কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের মূল্যায়ন নিয়ে সোমবার বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় ও বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ আয়োজিত সাবাদিক বৈঠকে যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধে টিকার বিষয়ে জোর দেন উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে টিকা সংগ্রহ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। আর এ টিকা অল্প সময়ের মধ্যে দিতে হবে। দেরি হলে সংক্রমণ আরও দীর্ঘায়িত হবে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারিতে ধুঁকছে বাংলাদেশ। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অবস্থা বাংলাদেশের মতো হলেও অনেক উন্নত দেশ এরই মধ্যে জনগণের একটি বড় অংশকে টিকা দিয়ে করোনার ধাক্কা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

করোনা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশেও গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল। তবে ভারত সরকারের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে, দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে টিকাদান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

এখন সরকার বিকল্প উৎস থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছে। চীন থেকে দেড় কোটি এবং রাশিয়া থেকে এক কোটি ডোজ টিকা কেনার আলোচনা এগিয়েছে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কিছু টিকা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে ড. আতিউর রহমান বলেন, টিকা পাওয়ার জন্য এখন দরকার স্মার্ট টিকা-কূটনীতি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে অর্থ আছে। প্রয়োজনে এ টাকার সংস্থান করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোর কাছে প্রচুর উদ্বৃত্ত টিকা আছে। প্রয়োজনে সেগুলো পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

আলোচনায় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ, সেই বরাদ্দ ব্যবহারে জটিলতা, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, সীমান্ত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি এসব নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টিকাই জরুরি, টাকা বিবেচ্য নয়

আপডেট সময় : ০৯:২৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

ছবি সংগ্রহ

করোনা থেকে মানুষকে রক্ষায় যেকোনো মূল্যে টিকা সংগ্রহ করাটাই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গর্ভণর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। টাকা নয়, টিকাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। টিকা পাওয়া এবং মানুষকে তা দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন, তাই করতে হবে।

৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপিত হয়। সেখানে স্বাস্থ্য খাতে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। থোক বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট বক্তৃতায় দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে পর্যায়ক্রমে করোনার টিকার আওতার আনার পরিকল্পনা কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের মূল্যায়ন নিয়ে সোমবার বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় ও বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ আয়োজিত সাবাদিক বৈঠকে যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধে টিকার বিষয়ে জোর দেন উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে টিকা সংগ্রহ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। আর এ টিকা অল্প সময়ের মধ্যে দিতে হবে। দেরি হলে সংক্রমণ আরও দীর্ঘায়িত হবে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারিতে ধুঁকছে বাংলাদেশ। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অবস্থা বাংলাদেশের মতো হলেও অনেক উন্নত দেশ এরই মধ্যে জনগণের একটি বড় অংশকে টিকা দিয়ে করোনার ধাক্কা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

করোনা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশেও গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল। তবে ভারত সরকারের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে, দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে টিকাদান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

এখন সরকার বিকল্প উৎস থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছে। চীন থেকে দেড় কোটি এবং রাশিয়া থেকে এক কোটি ডোজ টিকা কেনার আলোচনা এগিয়েছে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কিছু টিকা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে ড. আতিউর রহমান বলেন, টিকা পাওয়ার জন্য এখন দরকার স্মার্ট টিকা-কূটনীতি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে অর্থ আছে। প্রয়োজনে এ টাকার সংস্থান করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোর কাছে প্রচুর উদ্বৃত্ত টিকা আছে। প্রয়োজনে সেগুলো পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

আলোচনায় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ, সেই বরাদ্দ ব্যবহারে জটিলতা, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, সীমান্ত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি এসব নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।