জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ছাত্রলীগের শতাধিক হামলাকারী চিহ্নিত

- আপডেট সময় : ০১:০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৭৩টি খুন ও শতাধিক সহিংসতার ঘটনায় কমিটি করা হলেও কোনো কমিটিই প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এই প্রথম সহিংসতার ঘটনায় গঠন করা কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে
সত্যানুসন্ধান কমিটির তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনকারীর ওপর ছাত্রলীগের নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মীর নাম উঠে এসেছে। হামলাকারীদের বহিরাগত অংশটি ছিল বেশি আগ্রাসী।
চলতি সপ্তাহেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে এমনটি জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
কমিটির সদস্যদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৭৩টি খুন ও শতাধিক সহিংসতার ঘটনায় কমিটি করা হলেও কোনো কমিটিই প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এই প্রথম সহিংসতার ঘটনায় গঠন করা কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে।
১৫ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৫ মাস আগে গঠন করা এ কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ দুইবার পিছিয়ে চলতি সপ্তাহে জমা দিতে যাচ্ছে।
কমিটির সদস্যরা বলছেন, তারা ইতোমধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছেন। অনেকে অভিযোগ দিয়ে সাক্ষ্য দিতে না আসাসহ একাধিক কারণে প্রতিবেদন তৈরিতে একটু সময় লেগেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক মারধরের শিকার হন। ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে কেবল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯৭ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নেন। অনেক শিক্ষার্থী রাতে হলে ফিরে মারধরের শিকার হন। ১৬ ও ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ১৭ জুলাই বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এরপর থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটে।
সহিংসতার ঘটনা অনুসন্ধানে করা ৪ সদস্যের সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রথমে আহ্বায়ক ছিলেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ একরামুল হক। ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামীকে সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) শেখ আইয়ূব আলীকে কমিটিতে সচিব করা হয়। এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
পরে ৮ অক্টোবর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণকে প্রধান করে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়াকে সদস্য করা হয়। কমিটির সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) শেখ আইয়ুব আলী।