জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনা তেতুঁলিয়ায় মাছ ধরা বন্ধ

- আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১৭ বার পড়া হয়েছে
মার্চ-এপ্রিল জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনা তেতুঁলিয়ায় দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ। পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল এই দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। জাটকা নিধন বন্ধ করে ইলিশের উৎপাদন রক্ষায় এই পদক্ষেপ।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনাসহ ৬টি নদী অঞ্চল শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল ও ভোলায় দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে আগামী মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সব ধরণের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকাবে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় নৌকা ও জালের মেরামত কাজ সারতে অনেক জেলেই নিয়েছেন প্রস্তুতি। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা পাবেন খাদ্য সহায়তার চাল। তবে সরকারি খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল বলে দাবি জেলেদের।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও নদীতে জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে সব প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার এ সময় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভেরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় জাল ফেলা, মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা টাস্কফোর্স।
দুই মাস নিয়মিত জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে। অন্যদিকে, অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নিবন্ধিত ৪০ হাজার জেলেকে চার কিস্তিতে ১৬০ কেজি করে চাল করে চাল দেওয়া হবে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ধরা পড়লে কমপক্ষে এক বছর থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানান, জাটকা রক্ষায় জেলে পাড়াগুলোতে প্রচার প্রচারণা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তাদের জন্য নির্ধারিত বিজিএফএর চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের মতই জাটকা রক্ষা অভিযান কঠোর হবে। অভয়াশ্রমে অসাধু জেলেরা যাতে কোনভাবেই নদীতে নামতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে যাতে তাদের কিস্তির চাপ না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।