জলের দামে ইলিশ পেলো ভারত, কেজি মাত্র ৭৯২ রুপি, কলকাতার বাজারে বিক্রি হবে কত?
- আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
হাওড়া ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, প্রত্যেক বছরই আমরা প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১০০০ রুপির মধ্যে রাখার চেষ্টা করলেও তা হয়ে ওঠে না। এবছর খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ইলিশ ১৮০০ থেকে ২ হাজার রুপির মধ্যে থাকবে
আমিনুল হক, ঢাকা
বাংলাদেশের বাজারে যখন কেজি ওজনের ইলিশ ১৬শ থেকে ১৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, তখন সেই ইলিশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে প্রতি কেজি মাত্র ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ৭৯২ রুপি। অথচ এই ইলিশই ভারতের বাজাওে বিক্রি হবে ২০০০ থেকে ২২০০ রুপি কেজি দরে। গত বছরও একই দরে ইলিশ রপ্তানি করেছিলো পতিত হাসিনা সরকার।
হাজারো জল্পনা-কল্পনা শেষে জলের দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করলো ঢাকা। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য মাত্র ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২০০ টাকা। আর রুপিতে ৭৯২। বুধবার ভারতে প্রতি ডরারের মূল্য ছিলো ৭৯.২১ রুপি। এ বছর ২,৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি অনুমোদন দেশ ইউনূস সরকার। যদিও বলা হয়েছিলো পূজা উপলক্ষ্যে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করবে ঢাকা । কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে, ২,৪২০ টনের।
হাওড়া ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে হাওড়াসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে পৌঁছে যাবে এই ইলিশ।
এরই মধ্যে পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশের ইলিশ পৌঁছে গেছে। প্রথম ধাপে প্রায় ৬টা গাড়িতে ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে। আজ রাতেই হাওড়ার পাইকারি বাজারে পৌঁছে যাবে। শুক্রবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন খুচরা বাজারে পাওয়া যাবে বাংলাদেশের ইলিশ।
আনোয়ার মাকসুদ বলেন, প্রত্যেক বছরই আমরা প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১০০০ রুপির মধ্যে রাখার চেষ্টা করলেও তা হয়ে ওঠে না। এবছর দাম খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ইলিশ ১৮০০ থেকে ২ হাজার রুপির মধ্যে থাকবে।
প্রথম চালানে বৃহস্পতিবার বেনাপোল স্থল বন্দও দিয়ে ভারতে গেলো ১৮ মেট্রিক টন (১৮ হাজার কেজি)। মাছের মান পরীক্ষার পর এদিন বিকাল নাগাদ ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৯ জন রফতানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় বাণিজ্য মন্ত্রক। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। এই অনুমতির মেয়াদ ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।
পূজা উপলক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে কয়েক বছর পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ যাচ্ছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানো নিয়ে কঠোর মনোভাবের কথা জানায়। পরে অবশ্য অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতে বাংলাদেশের জাতীয় মাছটি রপ্তানি অনুমোদ মিলে। বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, রফতানিকারকরা ১০ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতিকেজি ইলিশ মাছ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় ১২০০ টাকা। এ পর্যন্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠান ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ ছাড়াতে তাদের কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টমস হাউজে জমা দিয়েছে। মাছের চালানের কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।