ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণ কেন নিজের দলের কর্মীদের থেকেও বিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা: তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০ ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
সাধারণ জনগণ কেন নিজ দলের কর্মীদের কাছ থেকেও বিচ্ছিন্ন রয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তাদের অস্তিত্ব সংবাদমাধ্যমে বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সরকার দুর্নীতিতে বেসামাল মন্তব্যের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, সীমাহীন দুর্নীতি- দুঃশাসনের কারণে যারা দেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, সেই বিএনপি’র মুখপাত্র হচ্ছেন রিজভী আহমেদ। তারা যখন দুর্নীতির কথা বলে, তখন মানুষ হাসে। তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ^াস ওঠে গেছে। রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রকের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আওলাদ হোসেন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, পেট্রোল বোমার রাজনীতি করার কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুধু জনগণ থেকেই নয়, বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের কাছ থেকেও আজ বিচ্ছিন্ন। টেলিভিশনে উপস্থিতির মাধ্যমে তারা তাদের অস্তিত্বট কোন রকমে প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছেন।
ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা-দুর্যোগ মোকাবিলায় অতীতেও সক্ষমতা দেখিয়েছেন, এখনো সফলভাবে বন্যা মোকাবিলা করছেন। ১৯৯৮ সালে যে ভয়াবহ বন্যায় দেশের ৭৫ ভাগ স্থল তিন মাস পানির নিচে ছিল, তখনও অনাহারে মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি। এবং সেই বন্যাকে সফলভাবে মোকাবিলা করে তিনি বিশ্ববাসীকে তার সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে গত সাড়ে ১১ বছরে যত প্রাকৃতিক দুর্যোগ-বন্যা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সেগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করে দুর্যোগের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করেছেন। এখনও বন্যা মোকাবিলায় তার নেতৃত্বে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য পাঠানো থেকে শুরু করে সবকিছু করা হচ্ছে এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়সহ সবাই কাজ করে চলেছে। আর যারা এ নিয়ে যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তারা কিন্তু বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াননি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা স্ব স্ব জায়গায় যেখানে বন্যা হয়েছে, সেখানে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি আবারও আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ জানাবো যতদিন বন্যা থাকবে, ততদিন তারা যেন মানুষের পাশে থাকে।
চলচ্চিত্র শিল্প প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে যে শিল্পের যাত্রা শুরু সেই শিল্পের স্বর্ণালী যুগ ফিরে আনতে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এই শিল্পকে কিভাবে টিকিয়ে রাখতে এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, কিভাবে আমাদের দেশের বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক বাজারেও স্থান করে নিতে পারে, সে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবসময় চিন্তা করে থাকেন। আমাকেও নানা নির্দেশনা দিয়েছেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সিনেমা হল খোলার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি এবং করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতার ফলে এ বিষয়ে আরেকটু ধীরে সুস্থে এগুনো ভালো হবে বলে মনে হয়। করোনার প্রকোপ যখন একেবারে কমে যাবে, তখন আমরা সিনেমা হল পুনরায় চালু করার বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি। বিপুল দর্শক থাকা সত্ত্বেও এখনও ভারতে সিনেমা হল খুলে দেয়া হয়নি, পাকিস্তানেও তাই।
এসময় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী জানান, সিনেমা হলগুলোর বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে শিল্প হারে নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আর বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিনেমা হল আধুনিকায়ন ও নতুন করে চালু করার জন্য স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণের বিষয়ে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথেও আলোচনা চলছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জনগণ কেন নিজের দলের কর্মীদের থেকেও বিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
সাধারণ জনগণ কেন নিজ দলের কর্মীদের কাছ থেকেও বিচ্ছিন্ন রয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তাদের অস্তিত্ব সংবাদমাধ্যমে বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সরকার দুর্নীতিতে বেসামাল মন্তব্যের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, সীমাহীন দুর্নীতি- দুঃশাসনের কারণে যারা দেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, সেই বিএনপি’র মুখপাত্র হচ্ছেন রিজভী আহমেদ। তারা যখন দুর্নীতির কথা বলে, তখন মানুষ হাসে। তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ^াস ওঠে গেছে। রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রকের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আওলাদ হোসেন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, পেট্রোল বোমার রাজনীতি করার কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুধু জনগণ থেকেই নয়, বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের কাছ থেকেও আজ বিচ্ছিন্ন। টেলিভিশনে উপস্থিতির মাধ্যমে তারা তাদের অস্তিত্বট কোন রকমে প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছেন।
ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা-দুর্যোগ মোকাবিলায় অতীতেও সক্ষমতা দেখিয়েছেন, এখনো সফলভাবে বন্যা মোকাবিলা করছেন। ১৯৯৮ সালে যে ভয়াবহ বন্যায় দেশের ৭৫ ভাগ স্থল তিন মাস পানির নিচে ছিল, তখনও অনাহারে মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি। এবং সেই বন্যাকে সফলভাবে মোকাবিলা করে তিনি বিশ্ববাসীকে তার সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে গত সাড়ে ১১ বছরে যত প্রাকৃতিক দুর্যোগ-বন্যা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সেগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করে দুর্যোগের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করেছেন। এখনও বন্যা মোকাবিলায় তার নেতৃত্বে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য পাঠানো থেকে শুরু করে সবকিছু করা হচ্ছে এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়সহ সবাই কাজ করে চলেছে। আর যারা এ নিয়ে যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তারা কিন্তু বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াননি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা স্ব স্ব জায়গায় যেখানে বন্যা হয়েছে, সেখানে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি আবারও আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ জানাবো যতদিন বন্যা থাকবে, ততদিন তারা যেন মানুষের পাশে থাকে।
চলচ্চিত্র শিল্প প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে যে শিল্পের যাত্রা শুরু সেই শিল্পের স্বর্ণালী যুগ ফিরে আনতে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এই শিল্পকে কিভাবে টিকিয়ে রাখতে এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, কিভাবে আমাদের দেশের বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক বাজারেও স্থান করে নিতে পারে, সে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবসময় চিন্তা করে থাকেন। আমাকেও নানা নির্দেশনা দিয়েছেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সিনেমা হল খোলার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি এবং করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতার ফলে এ বিষয়ে আরেকটু ধীরে সুস্থে এগুনো ভালো হবে বলে মনে হয়। করোনার প্রকোপ যখন একেবারে কমে যাবে, তখন আমরা সিনেমা হল পুনরায় চালু করার বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি। বিপুল দর্শক থাকা সত্ত্বেও এখনও ভারতে সিনেমা হল খুলে দেয়া হয়নি, পাকিস্তানেও তাই।
এসময় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী জানান, সিনেমা হলগুলোর বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে শিল্প হারে নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আর বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিনেমা হল আধুনিকায়ন ও নতুন করে চালু করার জন্য স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণের বিষয়ে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথেও আলোচনা চলছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।