ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠ ছিলেন হেলাল হাফিজ: ড. ইউনূস ৭১’র স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহতের আহ্বান ইউনূসের বাংলাদেশের মসজিদ-মন্দির গির্জায় কোন পাহারা বসাতে হবে না ভারত থেকে ট্রেনে লপা ৪৬৮ টন আলু আমদানি দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে ড. ইউনূস জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট প্রকাশের অনুমোদন পেলো ভারত বাংলাদেশের জনগণকে শত্রু বানাচ্ছে: বিজন কান্তি সরকার ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ড. ইউনূসের বৈঠক, তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রকৃত তথ্য জানতে হবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সাম্প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করতে হবে: প্রধান বিচারপতির হাসিনা সরকার আমলে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার!

চোখ ভালো রাখার উপায়

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

যেকোনো আলোই চোখ কিছুক্ষণের মানিয়ে নিতে পারে। তবে, আপনার চোখ ভালো রাখতে কম বা তীব্র আলোতে লেখাপড়া ও কাজকর্ম করা উচিত নয়। দিনের বেলাতে সূর্যের আলো সরাসরি চোখে না পড়াই ভালো। আর রাতে টিউব লাইটের আলো চোখের জন্য আরামদায়ক।

টেবিল ল্যাম্পের আলোতে লেখাপড়ার সময় ল্যাম্পটি দেয়ালের দিকে রেখে প্রতিফলিত আলোতে পড়াার অভ্যস করতে হবে।

টিভি দেখার নিয়ম

টিভি দেখার সময় টিভির পেছনের দিকের দেয়ালে একটি টিউব লাইট বা শেড-যুক্ত ৪০ বা ৬০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে টিভি দেখা ভালো। অন্ধকার ঘরে টিভি দেখা ঠিক নয়।

দিনের বেলা যে দরজা বা জানালার আলো টিভির পর্দায় প্রতিফলিত হয়, সেসব বন্ধ রাখাই ভালো। ছয় ফুটের কম দূরত্ব থেকে টিভি দেখা চোখের জন্য ক্ষতিকর। ১০ ফুট দূর থেকে টিভি দেখা উচিত।

বড়-ছোট বিভিন্ন আকারের টিভি দেখার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। মুঠোফোনও চোখের খুব কাছে নিয়ে দেখা উচিত নয়। টিভি ও মুঠোফোনের রং, উজ্জ্বলতা ও কন্ট্রাস্টও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চোখের জন্য সহনীয় মাত্রাগুলো নির্ণয় করে এসব নিয়ন্ত্রণ করুন। একটানা অনেকক্ষণ মুঠোফোন বা টিভি দেখা উচিত নয়, মাঝেমধ্যে দর্শন বিরতি দিতে হবে।

প্রসাধনীতে চোখের ক্ষতি

যেকোনে প্রসাধনীই চোখের জন্য ক্ষতি। চোখে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, ব্লেফারাইটিস, স্টাই ইত্যাদি রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

খুশকির জন্য সপ্তাহে দুবার মাথায় খুশকিনাশক থাকলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হলো। নইলে মাথার খুশকি থেকে চোখ আক্রান্ত হয়ে চোখে ব্লেফারাইটিস দেখা দিতে পারে।

সূর্যালোক চোখ রক্ষা

প্রতিদিন কাজের শেষে চোখ ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের শত্রু। সূর্যালোক থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকা উত্তম। রোদে গেলে রোদচশমা পরা উচিত। যাদের এমনিতেই চশমা পরতে হয়, তাদের জন্য ফটোক্রোম্যাটিক লেন্স ব্যবহার আরামদায়ক।

কনজাংটিভাইটিস, কর্নিয়াল আলসার, আইরাইটিসের রোগীদের জন্য এবং ছানি অপারেশনের পর কালো চশমা ব্যবহার করা জরুরি। চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ভালোভাবে ধুয়ে ঘুমানো উত্তম।

বিভিন্ন রোগে চোখের যত্ন

শিশুদের হাম, জলবসন্ত, হুপিংকাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখে ডায়াবেটিস রেটিনোপেথি হতে পারে। এসব রোগে নিয়মিত ও সঠিক নিয়ে ডায়াবেটিস বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে চোখ ভালো রাখা সম্ভব।

চশমার ব্যবহার

যাদের চোখে চশমা প্রয়োজন, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে চশমা পরা উচিত। স্বাভাবিকভাবেই ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়স থেকেই পড়াশোনা করতে ও কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়। এ সময়ে অনেকেই নিজের মনমতো রেডিমেড দৃষ্টিশক্তির চশমা ব্যবহার করেন, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ এবং চোখ পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চশমা পরবেন। কেউ কেউ মনে করেন, একবার চশমা ব্যবহার শুরু হলে সারা জীবন চশমা ব্যবহার করতে হবে। তাই চশমা ব্যবহার করেন না। এমন ধারণা চোখের ক্ষতি করতে থাকে। চশমা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। অস্বচ্ছ ও ফাটা লেন্স ব্যবহার নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চোখ ভালো রাখার উপায়

আপডেট সময় : ০২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

 

যেকোনো আলোই চোখ কিছুক্ষণের মানিয়ে নিতে পারে। তবে, আপনার চোখ ভালো রাখতে কম বা তীব্র আলোতে লেখাপড়া ও কাজকর্ম করা উচিত নয়। দিনের বেলাতে সূর্যের আলো সরাসরি চোখে না পড়াই ভালো। আর রাতে টিউব লাইটের আলো চোখের জন্য আরামদায়ক।

টেবিল ল্যাম্পের আলোতে লেখাপড়ার সময় ল্যাম্পটি দেয়ালের দিকে রেখে প্রতিফলিত আলোতে পড়াার অভ্যস করতে হবে।

টিভি দেখার নিয়ম

টিভি দেখার সময় টিভির পেছনের দিকের দেয়ালে একটি টিউব লাইট বা শেড-যুক্ত ৪০ বা ৬০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে টিভি দেখা ভালো। অন্ধকার ঘরে টিভি দেখা ঠিক নয়।

দিনের বেলা যে দরজা বা জানালার আলো টিভির পর্দায় প্রতিফলিত হয়, সেসব বন্ধ রাখাই ভালো। ছয় ফুটের কম দূরত্ব থেকে টিভি দেখা চোখের জন্য ক্ষতিকর। ১০ ফুট দূর থেকে টিভি দেখা উচিত।

বড়-ছোট বিভিন্ন আকারের টিভি দেখার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। মুঠোফোনও চোখের খুব কাছে নিয়ে দেখা উচিত নয়। টিভি ও মুঠোফোনের রং, উজ্জ্বলতা ও কন্ট্রাস্টও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চোখের জন্য সহনীয় মাত্রাগুলো নির্ণয় করে এসব নিয়ন্ত্রণ করুন। একটানা অনেকক্ষণ মুঠোফোন বা টিভি দেখা উচিত নয়, মাঝেমধ্যে দর্শন বিরতি দিতে হবে।

প্রসাধনীতে চোখের ক্ষতি

যেকোনে প্রসাধনীই চোখের জন্য ক্ষতি। চোখে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, ব্লেফারাইটিস, স্টাই ইত্যাদি রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

খুশকির জন্য সপ্তাহে দুবার মাথায় খুশকিনাশক থাকলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হলো। নইলে মাথার খুশকি থেকে চোখ আক্রান্ত হয়ে চোখে ব্লেফারাইটিস দেখা দিতে পারে।

সূর্যালোক চোখ রক্ষা

প্রতিদিন কাজের শেষে চোখ ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের শত্রু। সূর্যালোক থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকা উত্তম। রোদে গেলে রোদচশমা পরা উচিত। যাদের এমনিতেই চশমা পরতে হয়, তাদের জন্য ফটোক্রোম্যাটিক লেন্স ব্যবহার আরামদায়ক।

কনজাংটিভাইটিস, কর্নিয়াল আলসার, আইরাইটিসের রোগীদের জন্য এবং ছানি অপারেশনের পর কালো চশমা ব্যবহার করা জরুরি। চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ভালোভাবে ধুয়ে ঘুমানো উত্তম।

বিভিন্ন রোগে চোখের যত্ন

শিশুদের হাম, জলবসন্ত, হুপিংকাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখে ডায়াবেটিস রেটিনোপেথি হতে পারে। এসব রোগে নিয়মিত ও সঠিক নিয়ে ডায়াবেটিস বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে চোখ ভালো রাখা সম্ভব।

চশমার ব্যবহার

যাদের চোখে চশমা প্রয়োজন, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে চশমা পরা উচিত। স্বাভাবিকভাবেই ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়স থেকেই পড়াশোনা করতে ও কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়। এ সময়ে অনেকেই নিজের মনমতো রেডিমেড দৃষ্টিশক্তির চশমা ব্যবহার করেন, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ এবং চোখ পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চশমা পরবেন। কেউ কেউ মনে করেন, একবার চশমা ব্যবহার শুরু হলে সারা জীবন চশমা ব্যবহার করতে হবে। তাই চশমা ব্যবহার করেন না। এমন ধারণা চোখের ক্ষতি করতে থাকে। চশমা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। অস্বচ্ছ ও ফাটা লেন্স ব্যবহার নয়।